• মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন

সন্ধ্যা নামলেই সমিতি পাড়ায় প্রকাশ্যে চলে জিয়া উদ্দিনের মাদক ও পতিতা ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৬৪ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

কক্সবাজার শহরের পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সমিতি পাড়ার ২নং গলিতে দিনের পর দিন চলে আসছে মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ এবং অনলাইন জুয়ার হাট। দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয়দের এমন অভিযোগ থাকলেও নিরব ভূমিকায় প্রশাসন।

স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি- জিয়া উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ, সাগরপাড়ের ঝাউ বাগানে পাড়ার একটি ঘরে দোকান বসিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে খুচরা মাদকের ব্যবসা, অনলাইন জুয়ার হাট ও পতিতালয়। তবে এই অপকর্মের জন্য কোনো ধরনের দৃশ্যমান আইনি ব্যবস্থা দেখা যায়নি তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন- জিয়া উদ্দিনের মালিকানাধীন একটি দোকান ও তার আশেপাশের ঘরগুলোতে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর জমে ওঠে মাদক কেনাবেচার আসর। ইয়াবা, গাঁজা, বাংলা মদসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেখানে পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, একই স্থানে অসামাজিক কার্যকলাপও চলে, যেখানে নির্দিষ্ট সময় পর নারী আনাগোনা বাড়তে দেখা যায়।

একজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান- “রাতে বের হতে ভয় লাগে। অনেক অচেনা লোক আসে। তরুণদের ধ্বংস করে দিচ্ছে এ জায়গাটা।”

স্থানীয়দের দাবি- একাধিকবার পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, মাদক চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের কিছু অসাধু সদস্যের সখ্যতা রয়েছে, যার ফলে দোকানের আড়ালে প্রকাশ্য মাদক বিক্রিও থামানো যাচ্ছে না।

আরেকজন বাসিন্দা বলেন- “কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর চড়াও হয় এই চক্র। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা।”

সচেতন মহলের দাবী- মাদক ব্যবসা ও পতিতাবৃত্তির এমন অবাধ চলাফেরা শুধু সামাজিক অবক্ষয়ই নয়, যুবসমাজের জন্য ভয়াবহ হুমকি। অনেক স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কিশোরদের এই এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়, যা অভিভাবকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ তৈরি করেছে।

স্থানীয় এক সমাজকর্মী জানান- “অভিযান না হলে এ এলাকা পুরোপুরি মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের আস্তানায় পরিণত হবে।”

সচেতন মহল বলছেন- এলাকাবাসীরা এ অবস্থার অবসান চান। তারা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও নিয়মিত নজরদারির দাবি জানাচ্ছেন। অনেকে চান, একটি নিরপেক্ষ অনুসন্ধান করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- “বিষয়টি সম্পর্কে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে, শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন- মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ কেবল ব্যক্তি নয়, পুরো সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ এবং স্থানীয়দের সোচ্চার ভূমিকা ছাড়া এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করা কঠিন। প্রশাসনের আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে এমন অভিযোগ দিন দিন আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ