আবহাওয়া বার্তা : বঙ্গুবসাগরে অবস্থারত নিম্ন চাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এর নাম দেয়া হয়েছে ‘ফণি’। এটা কক্সবাজার থেকে তখনো ১৮৫৫ কিলোমিটার দূরে ছিল। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ উপকূল থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরো ঘনীভূত হয়ে ভারতের অন্ধ উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
কানাডা থেকে ইউনিভার্সিটি সাসকেটচিউয়ানের পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, দূরবর্তী স্থানে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি আগামী দুই দিনের মধ্যে দুর্বল না হলে এটা প্রচণ্ড শক্তিশালী হয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। এ সময়ের মধ্যে যদি তা দুর্বল না হয় তবে এটি আগামী ৪ থেকে ৫ মে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন গভীর সাগরে সৃষ্ট এই ঝড়টি সম্বন্ধে ইউরোপিয়ান আবহাওয়া সেন্টার, কানাডিয়ান আবহাওয়া সেন্টার, আমেরিকান আবহাওয়া সেন্টার মডেল পূর্বাভাস দিয়েছে। ইউরোপিয়ান আবহাওয়া কেন্দ্র তাদের পূর্বাভাস মডেলে আগামী ৫ মে রাত ১০টার পর ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম ও কক্সাবাজার উপকূল অতিক্রম করবে ১৩০ কিলোমিটার বেগে। কানাডিয়ান পূর্বাভাস মডেলে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ৫ মে রাত ১০টার পর সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আমেরিকান আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ৫ মে সন্ধ্যা ৬টার পর সেন্টমার্টিন ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।