বিদেশ ডেস্ক : পূর্ব লন্ডনের একটি মসজিদে তারাবির নামাজের সময় গুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য সান এর খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে (বাংলাদেশ সময় ভোর রাতে) বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা ইলফোর্ডের সেভেন কিংস মসজিদে গুলি চালায় এক মুখোশধারী। এ সময় মসজিদটিতে তারাবির নামাজ চলছিলো। কয়েকজন সাহসী মুসুল্লি হামলাকারীকে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে এলে সে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরই পুলিশ হামলাকারীকে ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
সেভেন কিংস মসজিদের ইমম মুফতি সুহাইল দ্য সানকে বলেন, রাতে তারারিব নামাজের সময় বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। মসজিদের গেটে পহাড়ায় থাকা আমাদের ভাইয়েরা তাকে চিনে ফেলার পর সে একটি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। সৌভাগ্যযে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
তিনি বলেন, ঘটনার পরই মসজিদের বাইরে অনেক পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। আমরা চাই তারা পুরো সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক, যাতে কেউ হতাহত না হয়।
ওয়াসিম মাহমুদ নামের এক মুসুল্লি বলেন, তিনি সে সময় মসজিদে ছিলেন। ওয়াসিম টুইটারে লিখেছেন, তারাবির নামাজের সময় এক লোক মসজিদে প্রবেশ করে বন্দুক হাতে। নামাজের মধ্যেই আমি গুলির শব্দ শুনি। আলহামদুলিল্লাহ কেউ হতাহত হয়নি। মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ নিরাপদ রাখুন।
পুলিশ বলছে, নামাজ চলাকালে এক মুখোশধারী মসজিদে প্রবেশ করে গুলি চালায়। তবে কয়েকজন সাহসী মুসুল্লি তাকে জোরপূর্বক বাইরে বের করে দেয়। এরপরও একটি গুলির শব্দ শোনা গেছে। পুলিশ ধারণা করছে, মুখোশধারীর হাতে যে অস্ত্র ছিলো সেটি দিয়ে শুধুমাত্র ফাঁকাগুলি ছোড়া যায়( ব্ল্যাঙ্ক ফায়ারিং গান- সিনেমায় যে ধরণের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়)। তাই এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে দেখছে না ব্রিটিশ পুলিশ। ঘটনার পরপরই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় মসজিদটির আশাপাশে।
এই হামলার ঘটনায় লন্ডনজুড়ে মুসলমানদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগে গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ নগরীতে দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় এক বন্দুকধারী সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হয়েছে ৫০ জন মুসুল্লি।