• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন

ঈদগাঁও ব্যবসায়ীকে অপহরণ! ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণে মুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৩ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

ঈদগাঁও ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ২৪ ঘন্টা পর ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে বাসায় ফিরলেন মোঃ সোহেল। রবিবার (২৩ অক্টোবর ) রাত ১২ টার দিকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের সড়কে বাহার ছড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহরণের সিকার ব্যাসায়ী মোঃ সোহেল (৩৮) জালালাবাদের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড বাহার ছড়ার মৃত আব্দু রশিদ এর ছেলে।

অপহরণের পর তাকে চোখ মুখ বন্ধ করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে নানা ধরনের নির্যাতন চালায় পরে তার মোবাইল থেকে পরিবারকে কল করে পরিবারের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে সোহেল এর লাশ পড়ে যাবে বলে জানিয়ে দেয় সংঘবদ্ধ চক্রটি, বিষয়টি পুলিশ বা কাওকে জানালে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হবে বলেও জানান।

পরেরদিন তার খালাতো ভাই আবু বক্কর ও বোন সাহেনা মিলে সকাল থেকে তাদের দাবিকৃত ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ যোগাড় করতে বাড়িতে থাকা স্বর্নগয়না বিক্রি করে ও আত্মীয় স্বজন থেকে ধার করে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে রামু জোয়ারিয়া নালা চক্রটির নির্ধারিত স্থান স্বপ্নতরী পার্কের পাশে সাইনবোড নামক স্থানে রেখে আসলে চক্রটি টাকা বুজে পাওয়ার পর ব্যাবসায়ী সোহেলকে ছেড়ে দেন।

অপহৃত সোহেল জানায় ঘটনার সময় ঈদগাঁও বাজার তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান আল-হেরাম ফার্মেসী থেকে প্রতিদিনের ন্যায় রাত ১১.৪০ মিনিটের দিকে জালালাবাদ বাহারছড়া বাড়ির উদ্দেশ্য যাত্রা করি রাত প্রায় ১২ টার দিকে আমি নিজ বাড়ির বাহিরের গেইডে এসে দাড়ালে আগে থেকে ওতপেতে বসে থাকে ৬/৭ জন সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি আমাকে ঘিরে পেলে পরে চারজন এসে আমার মাথায় অস্ত্র টেকায় বাকিদের হাতে বিদেশি অস্ত্র দেখতে পাই এসময় আওয়াজ করলে গুলি করে লাশ ফেলবে বলে সংঘবদ্ধ চক্রটি রাস্তায় থাকা তাদের সিএনজিতে তুলে আমাকে অজ্ঞাত নামা স্থানে গহিন পাহাড়ের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালনায় পরে আমার মোবাইল থেকে বাড়িতে কল দিয়ে মুক্তিপনের কথা বলে। প্রায় ২৩ ঘন্টা পর ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে আমাকে অজ্ঞাত স্থান থেকে বের করে দেয় সংঘবদ্ধ চক্রটি।

স্থানীয়দের দাবি দীর্ঘ বছর ধরে এলাকায় বসবাস করলেও অপহরণের বিষয়টি প্রথম জালালাবাদ ইউনিয়ন থেকে এমন ঘটনা আমাদের আতঙ্ক ছড়িয়েছে সংঘবদ্ধ এই চক্রের তার্গেট ব্যবসায়ী কিংবা প্রবাসী তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না গেলে পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপে ধারণ করবে। তবে তারা বলেন এই অপহরণ চক্র সক্রিয় হওয়ার পিছনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রধান কারণ হিসেবে দেখছি কেননা এই সড়কে পুলিশ টহল রাতের বেলা লক্ষ্য করা যাইনা।

এই বিষয়ে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান ঘটনাটি আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে অপরাধীদের সনাক্তের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া রাতে পুলিশের টহল বৃদ্ধিসহ সংঘবদ্ধ চক্রটিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ।

উল্লেখ্য এর আগেও ঈদগাঁও-ইদগড় সড়কের পানের ছড়া,হিমছড়ি ও বিভিন্ন স্থানে রাতের আঁধারে যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি ও ব্যবসায়ী অপহরনের ঘটনা ঘটে ।

এ কারণে উপজেলার লোকজন সন্ধ্যার পর ওই সড়কে চলাচলে শঙ্কিত থাকেন। পুলিশি তৎপরতায় কিছুদিন বন্ধ থাকলেও রবিবার রাতে ঈদগাঁও উপজেলা জালালাবাদে ফের ব্যবসায়ী অপহরণের ঘটনা ঘটলো।

স্থানীয় মহলযাতায়াতরত সাধারণ লোকজনের জানমাল নিরাপত্তার স্বার্থে উক্ত রোডে পয়েন্টে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করার জোর দাবী জানান।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ