• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন

পৃথক অভিযানে ৯,০০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার! পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ী আটক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি / ২০ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

*র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার কর্তৃক পরিচালিত পৃথক অভিযানে ৯,০০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার এবং একজন মহিলাসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ী আটক ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ২২ বছর আত্মগোপনে থাকা মাদক মামলার অপর একজন আসামী গ্রেফতার*

গত ২৯ মে ২০২৩ খ্রিঃ র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর এবং র‍্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা সূত্রে র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল জানতে পারে যে, কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন জালিয়াপাড়া এলাকায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান সরবরাহের লক্ষ্যে কতিপয় মাদক কারবারী অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৯ মে ২০২৩ খ্রিঃ রাতে র‌্যাবের আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার করে। অভিযান পরিচালনার একপর্যায়ে কতিপয় ব্যক্তি র‌্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালানোর চেষ্টাকালে এক মহিলাসহ তিনজন মাদক কারবারীকে র‌্যাব কর্তৃক আটক করতে সক্ষম হয়। উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক বাড়ী ও বসত ঘর তল্লাশী করে ধৃত আলমগীর হোসেন এর ঘরের খাটের নিচে স্কুল ব্যাগ ও বস্তার ভেতর হতে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় *মোট ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার* করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদের বিস্তারিত পরিচয় *১। আলমগীর হোসেন (১৯)*, পিতা-আব্দুল শুক্কুর, মাতা-সোনা মেহের, *২। আবুল বশর (২২)*, পিতা-সৈয়দ হোসেন, এবং *৩। সোনা মেহের (৫৫)*, স্বামী-আব্দুল শুক্কুর, সর্বসাং-উত্তর জালিয়াপাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। ধৃত মাদক কারবারীরা জানায়, আলমগীর হোসেন ও সোনা মেহের সম্পর্কে মা-ছেলে এবং আবুল বশর তাদের যোগসাজশে বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করে থাকে।

ধৃত মাদক ব্যবসায়ীদের হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, তাদের মাদক চক্রের সাথে জড়িত কতিপয় ব্যক্তি টেকনাফ থানাধীন ০২নং হ্নীলা ইউনিয়নের ০৩নং ওয়ার্ডের ওয়াব্রাং সুলিশপাড়া এলাকায় বিশাল বড় একটি ইয়াবার চালানসহ অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল ভোর রাতে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে *আরো ৭,০০,০০০ (সাত লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার* সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের বিস্তারিত পরিচয় *১। মোঃ ফয়সাল (৩১)*, পিতা-মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সাং-ফুলের ডেইল এবং *২। এমরান প্রঃ লাদেন (২৮)*, পিতা-শামশুল আলম, সাং-জাদিরপাড়া, হ্নীলা ইউনিয়ন, উভয়থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালানের চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রের মূলহোতা আবুল বাশার। তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘ দিন যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকের বড় চালান অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে টেকনাফে নিয়ে আসে। ধৃত মাদক ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত কৌশলে আর্থিক লাভের জন্য ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য বিভিন্ন পন্থায় নিজেদের হেফাজতে রেখে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে থাকে মর্মে জানা যায়।

গ্রেফতাকৃত মাদক ব্যবসায়ী সোনা মেহের এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার টেকনাফ থানায় ০১টি মাদক মামলা; মোঃ ফয়সাল এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার টেকনাফ থানায় ০১টি মাদক মামলাসহ মোট ০২টি মামলা এবং এমরান প্রঃ লাদেন (২৮) এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার টেকনাফ থানায় ০১টি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

আপনাদের অবগতির জন্য আরও জানানো যাচ্ছে যে, র‌্যাব-১৫ কর্তৃক মাদক নির্মূল অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন মামলায় পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধিসহ আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায়, একই তারিখে দীর্ঘ ২২ বছর যাবত আত্মগোপনে থাকা *মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী রশিদ আহমদ (৪৮)*, পিতা-হাজী আনোয়ারুল ইসলাম, সাং-উত্তর রুমালিয়ার ছড়া, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজারকে র‌্যাবের আভিযানিক দল গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

র‍্যাবের এই চলমান একাধিক অভিযানে *সর্বমোট ৯,০০,০০০ (নয় লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার* এবং একজন মহিলাসহ মোট *পাঁচজন মাদক কারবারী আটক ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ২২ বছর আত্মগোপনে থাকা মাদক মামলার অপর একজন আসামী* কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

—-স্বাক্ষরিত—–
মোঃ আবু সালাম চৌধুরী
অতিঃ পুলিশ সুপার
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’এন্ড মিডিয়া)
পক্ষে অধিনায়ক


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ