[মোঃনাজিম উদ্দিন]
ঢাকা ১০ অক্টোবর ২০১৯ইং: নারায়ণগঞ্জে ১৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক আদােলতে মামলা দায়েরের ঘটনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিএমএসএফ’র সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অন্যদিকে দিনাজপুরের হিলিতে ডেইলী ইন্ডাষ্ট্রি পত্রিকার প্রতিনিধি সোহেল রানাকে পুলিশ কর্তৃক লাঞ্ছিত করায়
তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।
মামলা দুটির মধ্যে একটি বাদী সিদ্ধিরগঞ্জের এসও রোডের স্বপন মন্ডল। তার পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন অ্যাড. হাবিবুর রহমান মাসুম এবং অপরটির বাদী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী। তার পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন অ্যাড. মশিউর রহমান শাহিন। স্বপনের করা মামলায় ৭ পত্রিকার ১৪ জন এবং মীর সোহেল আলীর মামলায় এক পত্রিকার দু’জন সাংবাদিককে বিবাদী করা হয়েছে।
স্বপন মন্ডলের দায়েরকৃত মামলায় বিবাদীরা হলেন নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক সচেতন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী ইসলাম, একই পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ইমতিয়াজ আহম্মেদ, দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ এর প্রকাশক সম্পাদক জাবেদ আহম্মেদ জুয়েল, বার্তা সম্পাদক শাহীন, দৈনিক সংবাদ চর্চা এর প্রকাশক সম্পাদক মুন্না খাঁন, বার্তা সম্পাদক আনোয়ার হাসান, দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. ইলিয়াস মোল্লা, বার্তা সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সোহেল রানা, দৈনিক যুগের চিন্তা এর প্রকাশক সম্পাদক আবু আল মোরসালিন বাবলা, নির্বহী সম্পাদক এজাজ কোরেশী এবং দৈনিক মাতৃভূমির খবর এর প্রকাশক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, উপদেষ্টা সম্পাদক আনায়ারুল ইসলাম, নির্বাহী সম্পাদক এনামুল কবির।
অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীর দায়েরকৃত মামলায় বিবাদীরা হলেন-দৈনিক ডান্ডিবার্তা পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক হাবিবুর রহমান বাদল এবং একই পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আ. রহিম।
স্বপন তার মামলায় দাবি করেছেন ‘ক্যাসিনো ডন সেলিম প্রধান গ্রেফতার হলেও প্রকাশ্যে ঘনিষ্ট বন্ধু স্বপন মন্ডল’, ‘ক্যাসিনো ডন সেলিম প্রধান গ্রেফতার আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়েছে স্বপন মন্ডল’ ইত্যাদি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। সেসব সংবাদ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি। একই সাথে তিনি দাবি করেছেন এ সংবাদের কারণে তার ৫ কোটি টাকার মানহানি ঘটেছে।
অন্যদিকে মীর সোহেল আলী দাবি করেছেন, ডান্ডিবার্তায় প্রকাশিত সংবাদ অসত্য মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যে ভরপুর। এর ফলে তারও মানহানি ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
অবিলম্বে মামলা দুটি প্রত্যাহারের দাবি করা হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনেরও হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।