আরাফার ময়দানে পবিত্র হজের খুতবায় (৯ জিলহজ) ফিলিস্তিনের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেছেন হজের ইমাম শায়খ মাহের আল মুয়াইকিলি।
খুতবায় তিনি ফিলিস্তিনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করে বলেন, ‘ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের জন্য প্রার্থনা করুন, যারা নিষ্ঠুর নিপীড়নের শিকার হয়েছে এবং স্বাধীনতা ও জীবনধারণের জন্য যা প্রয়োজন তা থেকে তাদের বিরত রাখা হয়েছে। যাদের রক্ত ঝরছে, শত্রুর আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য দোয়া করুন।’
শনিবার (৯ জিলহজ, ১৫ জুন) দুপুরে মসজিদে নামিরায় হজের খুতবা দেন তিনি। এরপর তার নেতৃত্বে একই আজানে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
খুতবা শেষে নামাজের পর মুনাজাতেও ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া করেন শায়খ মাহের আল মুয়াইকিলি।
মুনাজাতে তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহ আমরা আপনার কাছে প্রার্থনা করছি— দ্বন্দ্বপূর্ণ অঞ্চলে বিশেষ করে ফিলিস্তিনের আমাদের ভাই-বোনদের জীবন সহজ করে দিন।তাদের সাহায্য পাঠান। নিহতদের ওপর রহম করুন এবং আহতদের শিফা দান করুন।
প্রার্থনায় শায়খ মুয়াইকিলি আরও বলেন, ‘হে আল্লাহ শত্রুর পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিন। আপনার পরাক্রমশালী শক্তি দ্বারা তাদের আঘাত করুন এবং নিকৃষ্টতম অপমান দ্বারা তাদের অপমানিত করুন।’
শনিবার ভোর থেকেই আরাফার ময়দানে সমবেত হন হাজিরা
এদিন সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পর (মক্কার স্থানীয় সময় ৫টা ৫মিনিট) একই আজানে মাগরিব ও এশারের নামাজ আদায়ের পর হজের মুসল্লিরা মুজাদালিফার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন। ১০ জিলহজ (১৬ জুন) সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত কিছু সময় অবস্থান করে হাজিরা কোরবানি আদায় করবেন।
পড়ুন: লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফার ময়দান
এরপর পবিত্র হারামে গিয়ে ১২ জিলহজের সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত সুবিধামতো সময়ে কাবা ঘরে বিদায়ী তাওয়াফে সাতবার প্রদক্ষিণের মধ্য দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন।
এদিকে এবছরও বাংলাসহ ২০টির বেশি ভাষায় আরাফার খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হয়। এ বছর বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন করেন মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ড. খলীলুর রহমান।