কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড জাগির পাড়ার মৌলভী আহমদ উল্লাহ সোলতানীর ছেলে আহসান উল্লাহ। তিনি ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা এবং পরবর্তীতে কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে বোর্ড বৃত্তিসহ ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি সম্মান শেষ বর্ষ (৮ম সেমিস্টার) এবং কবি জসীম উদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। আলমাছিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা স্কাউট গ্রুপ থেকেই তার স্কাউটিংয়ের যাত্রা শুরু। তিনি ঈদগাঁও উপজেলার প্রথম শিক্ষার্থী হিসেবে ২০১৬ সালে স্কাউট শাখার সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড “প্রেসিডেন্টস স্কাউট অ্যাওয়ার্ড” অর্জন করেন। কক্সবাজার সরকারি কলেজে অধ্যয়নকালে অত্র কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রমে সরাসরি সেবা প্রদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের একজন সক্রিয় রোভার হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি ২০২৪ সালের বন্যা মোকাবিলা, বঙ্গবাজার ট্রাজেডি, করোনা ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রোগ্রামে বাংলাদেশের মান সমুন্নত করাসহ নানান কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের সিনিয়র রোভার মেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এক থেকে চার নভেম্বর জাপানে এপিআর এডাল্টস ইন স্কাউটিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে দক্ষ স্কাউটদেরকে আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম গুলোর জন্য নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। এবারের আসরে বাংলাদেশ স্কাউট থেকে নির্বাচিত তিনজন প্রতিনিধি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তারমধ্যে রোভার স্কাউট এবং ইয়াং এডাল্টস লিডার হিসেবে একমাত্র আহসানই প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এপিআর (এশিয়া- প্যাসিফিক রিজিওন) এর আয়োজনে জাপানের ফুফুওকা শহরে এ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে।
এতে অংশগ্রহণ বিষয়ে আহসান বলেন, “বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের মান সমুন্নত করতে আজীবন চেষ্টা চালিয়ে যাবো। দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসা; সেই ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণাটুকু পুঁজি হয়ে থাকে। সেখানেই যাই না কেনো আমার দেশমাতৃকার সেবায় সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো এবং মর্যাদা সমুন্নত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।”