• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

লকডাউনের কারনে মহেশখালী-বদরখালী সংযোগ সেতুতে টোল আদায়ে অর্ধ কোটি টাকা ক্ষতি | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ৩৩ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০

ইয়াছিন আরাফাত,মহেশখালী:

দেশের মহামারি করোনায় লাগাতার লকডাউনোর কারণে মহেশখালী-বদরখালী সংযোগ সেতুতে টোল আদায়ে অর্ধ কোটি টাকা মত ক্ষতি হয়েছে। দেশের ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম মহেশখালী-বদরখালী সংযোগ সেতুর মহাসড়কে যানবাহনের দেখা মেলাই কষ্টকর। এ সেতু থেকে লকডাউনে ৮০ দিনে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মতো টোল আদায় কম হচ্ছে বলে জানাগেছে। ফলে সেতু ইজারাদারদের প্রায় কোটি টাকার মতো ক্ষতি সাধিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সেতু ইজারা পাওয়া মেসার্স প্রমিনেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লোকজন ।

করোনাকালে জনসমাগম ঠেকাতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন লকডাউন ঘোষনা করায় পরিবহন মহাসড়কে অবাধে চলাচল বন্ধ করে দেয়ার নেতিবাচক প্রভাবে টোল আদায়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

মহেশখালী-বদরখালীর সেতুর টোলপ্লাজার হিসাব অনুযায়ী জানা যায়, প্রতিদিন চকরিয়া কেবি জালাল উদ্দিন সড়কে দেশের দক্ষিণাঞ্চল জেলার প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু বর্তমানে লকডাউনের ফলে এই মহাসড়কে চলাচল করা যানবাহনের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র হাতোগোনা। আর যে গাড়িগুলো চলছে সেগুলোও চলছে পুলিশের তত্ত্বাবধানে।

মহেশখালী-বদরখালী সংযোগ সেতুর ইজাদারদের তথ্যমতে, গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা করে জেলা প্রশাসন। মধ্যখানে লকডাউন শীতল করা হলে ও চলতি মাসের ৭ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত চকরিয়া পৌর সভাকে আবার লকডাউন ঘোষনা করে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন। যার কারনে ৮০% পর্যন্ত গাড়ী চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চলাচলরত মহেশখালী-বদরখালী সংযোগ সেতু দিয়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল করতে না পারায় টোল আদায়ে ধস নেমেছে। এর ফলে প্রায় ১ কোটি টাকা মত লুকসান গুনতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইজারাদারদের।

মহেশখালী-বদরখালী সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে উক্ত সেতু দিয়ে সীমিত যানবাহন চলাচল করছে। ফলে সেতুর টোল আদায় প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। লাগাতার লকডাউনোর কারণে এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল কমে এসেছে।

সরেজমিনে মহেশখালী-বদরখালী সংযোগ সেতুতে দেখা গেছে, লকডাউনের কারণে কিছুসংখ্যক মালবাহী ট্রাক ও ছোট ছোট যানবাহন দিনে চলাচল করতে দেখা গেলেও রাতে এর পরিমাণ নগন্য। এছাড়া সেতুর পূর্বপ্রান্তে লকডাউন পালন করতে পুলিশ বক্স স্থাপন করা হয়েছে। ফলে দিনরাত পুলিশ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে মহেশখালী-বদরখালী সংযোগ সেতুতে। যেখানে প্রতিদিন সেতুর টোল আদায় ছিল সন্তোষ্টজনক। সেখানে বর্তমানে তা নেমে এসেছে শূণ্যের কোঠায়। জানাগেছে, সড়ক পরিবহন বিভাগ থেকে ২০১৮/১৯ ইং ও ২০১৯/২০ সনের জন্য মহেশখালী-বদরখালী সেতুটি ইজারা নেয় দায়িত্বপ্রাপ্ত মেসার্স প্রমিনেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স।

মহেশখালী-বদরখালী সংযোগ সেতুর মেসার্স প্রমিনেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরান বলেন, মহামারী করোনাকালে ঘন ঘন লকডাউনের কারনে সেতুটি দিয়ে স্বাভাবিকভাবে পরিবহন চলাচল না করায় বিপুল পরিমাণ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। অর্ধেক পরিবহনও এখন পার হচ্ছে না এ সেতু দিয়ে। তাই ইজারাদারদের কথা চিন্তা করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বরা একটু মানবিক খাতিরে সু-নজর দিবেন ক্ষতি পুষিয়ে তোলার জন্য।

চকরিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের এসও রাফি বলেন, সেতুতে টোল আদায় ধস এটা পুরো দেশের সমস্যা। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একটি সিন্ধান্ত দিতে পারেন। সিন্ধান্ত দিলে আমি সেটা জানাব।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ