• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন

ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য,মহেশখালী-বদরখালীর চ্যানেলের সৃজিত প্যারাবনের বাইন গাছ | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ২০ ভিউ টাইম
আপডেট : সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০

ইয়াছিন আরাফাত,মহেশখালী:

পানির ওপর জেগে আছে কেটে নেওয়া অসংখ্য বাইনগাছের গুঁড়ি। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কেটে ফেলা গাছের ডাল-পালা। এলাকাটি উপকূল রক্ষার জন্য সৃজিত প্যারাবনের অংশ। সেখানে এখন সুবজ শ্যামল শত শত গাছে করাত ও দায়ের কুপ। থেমে নাই নিধন প্রক্রিয়াও।

জানাগেছে, করোনাকালের সুযোগ নিয়ে উপকূলীয় ফরেষ্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় অসৎ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সেখানে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা প্যারাবন দখলের জন্য একজোট হয়েছে। জোটবদ্ধ হয়ে উপকূলের রক্ষা কবচ প্যারাবন ধ্বংস করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মহেশখালী-বদরখালী নৌ চ্যানেলের লাগায়ো পূর্বপাশে বদরখালীর ইউনিয়নের দক্ষিণমাথা ফিশারিঘাট এলাকায় চলছে এসব নিধন যজ্ঞ।

অদ্য ৬ জুলাই সোমবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্যারাবন নিধনের চিত্রটি। মহেশখালী-বদরখালী নৌ চ্যানেলের লাগায়ো বদরখালীর ইউনিয়নের দক্ষিণমাথা ফিশারিঘাট সংলগ্ন বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির আওতাধীন লম্বাঘোনা নামে পরিচিত উপকূলীয় বন বিভাগের সৃজিত প্যারাবন কেটে নিধন করা হচ্ছে। এতে প্রকৃতির ধ্বংসের পাশা-পাশি উপকূল ও ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আলম জানান, এভাবে প্যারাবন কেটে সাবাড় করে দিলে উপকূলের মারাত্মক ক্ষতি ও পরিবেশ ধ্বংসের আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ নাজমুল হুদা বলেন, সংশ্লিষ্ট বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে। এক পর্যায়ে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা মুখে স্বীকার করলেও বক্তব্যের এক পর্যায়ে কৌশলে এড়িয়ে যান।

চট্টগ্রাম বিভাগী বন কর্মকর্তা গোলাম মাওলার সাথে এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভাব হয়নি।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ