• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন

মহেশখালীর আলাউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ গ্রেফতার ০৩ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

Md Nazim Uddin / ২৩ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১

মহেশখালী প্রতিনিধিঃ

মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা গ্রামের আলোচিত আলাউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম প্রকাশ মামুন(২৮ ) সহ ০৩ জন অস্ত্রধারী কে গ্রেফতার করেছে (র‌্যাব-১৫)৷

গত ০৫ নভেম্বর ২০২১ইং সাড়ে ৮ টার সময় কালারমারছড়া ইউপির ছামিরাঘোনা কালুর ব্রিজ নামক স্থানে আলাউদ্দিন(২৬) নামক এক আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুকে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে। উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই সুমন উদ্দিন বাদী হয়ে গত ০৬ নভেম্বর ২০২১ইং মহেশখালী থানায় এজাহার নামীয় ১৮ জন আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ০৪/০৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে, যা মহেশখালী থানার মামলা নং-০৫/৩১৩ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

এরই সূত্র ধরে উক্ত হত্যাকান্ড মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল। তদন্ত চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে (২২ নভেম্বর) সাড়ে সাতটার সময় লামা থানাধীন ফাইতং এলাকা হতে রফিকুল ইসলাম প্রকাশ মামুন(২৮), পিতা- মনছুর আলম প্রকাশ রসু, সাং- ছামিরাঘোনা, তার সহযোগী মোঃ রিফাত (২৩), পিতা- মনিরুল আলম, সাং- চিকনীপাড়া, সর্বইউনিয়ন- কালামারছড়া, থানা- মহেশখালী, জেলা- কক্সবাজার’ দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়৷ আটককৃত মামুন চাঞ্চল্যকর আলাউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী।

আটককৃত আসামী মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে সে অপহরণ এর নাটক সাজিয়ে লুকিয়ে ছিল। সে আরো জানায় যে আলাউদ্দিন হত্যা মামলার ১২নং আসামী আইয়ুব আলী কক্সবাজার থানাধীন পাহাড়তলী এলাকায় লুকিয়ে আছে। মামুনের দেওয়া তথ্যমতে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত আলাউদ্দিন হত্যা মামলার ১২নং পলাতক আসামী আইয়ুব আলী(৪০), পিতা- মৃত আব্দুল আলী, সাং- মোহাম্মদ শাহঘোনা, কালামারছড়া, থানা- মহেশখালী, জেলা- কক্সবাজার পাহাড়তলী এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

আলাউদ্দিন হত্যা মামলার ধৃত ০১নং আসামী মামুন (২৮) এবং ১২নং আসামী আইয়ুব আলী(৪০) কে জিজ্ঞাসাবাদ কালে তারা জানায় যে, ডাকাতি ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, মহেশখালী থানাধীন কালারমারছড়া ইউপিস্থ নয়াপাড়া সাকিনের মুড়ারকাছা পাহাড়ের মৃত আলকাসের বাগানের পরিত্যক্ত মাটির তৈরি দোচালা টিনের ঘরের পিছনে ঝোপের ভিতর মাটির নিচে লুকায়িত আছে।

তাদের দেওয়া তথ্যমতে, র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস অাভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে লুকায়িত ঘাঁটি থেকে ৪টি একনলা লম্বা বন্দুক, ১টি থ্রি-কোয়ার্টার বন্দুক, ৩টি এলজি, ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধারপূবর্ক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে।

কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর শেখ ইউসূফ আহমেদ বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যা মামলার আসামি। তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শেষে মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হবে।’


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ