• বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন

চাকরিই কাল হলো রাবেয়ার: সেপটিক ট্যাংকে লাশ

ডেক্স নিউজ / ২০ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩
পাবনায় বাড়ি থেকে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার - প্রতীকী ছবি

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগে এক পাষণ্ড স্বামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মঙ্গলবার রাতে ঘাতক হাবুল বেপারীকে রাজধানীর কামারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে স্ত্রীর ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে বাহিনীর মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, রোববার দুপুরে সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী এলাকায় নিজের বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন গৃহবধূ রাবেয়া খাতুন। দাম্পত্য কলহ এবং পরকীয়া সন্দেহে হত্যার পর রাবেয়ার লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় রাবেয়ার ভাই সদরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর ছায়া তদন্তে নামে র‌্যাব।

তিনি আরও বলেন, স্ত্রীকে হত্যার কাজে নিজের ভগিনীপতি সূর্য্য মোল্লারও সহায়তা নেয় হাবুল বেপারী। এজন্য হত্যাকাণ্ডের দিন সূর্য মোল্লাকে বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে আনা হয়। বাড়ির সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার সারেন। পরে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে ঘাতকরা রাবেয়ার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধরে। এতে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়।

র‌্যাব জানায়, রাবেয়া স্থানীয় এক এনজিওতে মাঠকর্মী ছিলেন। স্বামীর তুলনায় ভালো রোজগার ছিল তার। এ কারণে অনেকেই তার কাছ থেকে টাকাপয়সা ধার নিত। হাবুল বেপারীর ভগিনীপতি সূর্য্য মোল্লাও রাবেয়ার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। রাবেয়া খুন হলে পাওনা টাকা পরিশোধ করতে হবে না ভেবে সূর্য্য মোল্লা হত্যা পরিকল্পনায় জড়িয়ে পড়েন। খুনের পর রাবেয়ার লাশ ঘরের পেছনে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর সূর্য্য এবং হাবুল এলাকা ছেড়ে অন্যত্র সরে পড়েন।

এদিকে দুদিন নিখোঁজ থাকার পর ঘরের পেছনে সেপটিক ট্যাংক থেকে রাবেয়ার লাশ উদ্ধার হলে এলাকায় হৈ চৈ পড়ে যায়। থানা পুলিশের পাশাপাশি ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। একপর্যায়ে রাজধানীর তুরাগ এলাকার কামারপাড়া থেকে হাবুলকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে খুনের কথা স্বীকার করেন ঘাতক হাবুল।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ