• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

চকরিয়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে অসহায়দের পাশে মানবিক জনপ্রতিনিধি জিয়াবুল হক | সি কক্স নিউজ

নিউজ রুম / ১৩ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ৩০ মে, ২০২০
করোনা আক্রান্ত পরিবারসহ দরিদ্র ও অসহায়দের পাশে মানবিক জনপ্রতিনিধি জিয়াবুল হক | সি কক্স নিউজ

মোঃ নাজমুল সাঈদ সোহেল,চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর সাবেক ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, দানবীর ও তরুণ জননেতা জিয়াবুল হক মরণঘাতি কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে সৃষ্ট সংকটে অসহায়, দরিদ্র ও করোনা আক্রান্ত পরিবারেক মানবিক সহায়তা প্রদান করে আসছেন। অদৃশ্য মহামারী করোনা ভাইরাসে পাল্টে যাওয়া মানুষের জীবনযাত্রায় এই জনপ্রতিনিধি মানবতার সেবায় অবিরাম ছুটে চলেছেন চকরিয়া পৌর শহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

সরকারি নির্দেশনা মতে অঘোষিত ভাবে লগডাউন ঘোষনা হওয়ার পরথেকে দরিদ্র, দিনমজুর, কর্মহীন, সুবিধা বঞ্চিত ও করোনা আক্রান্ত অসহায়দের পরিবারের মুখে খাবার দিতে প্রতিনিয়িত খাদ্য সহায়তা ও উপহার সামগ্রী নিয়ে তিনি সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন জনপদের অলিগলিতে।

স্থানীয়দের মতে কাউন্সিলর জিয়াবুল হক শুধু মানবিক জনপ্রতিনিধি না যেনো এক মানবতার ফেরিওয়ালা। তিনি ইতিমধ্যে চকরিয়া পৌরসভায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দরিদ্র পরিবার ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত ১৫ হাজার কর্মহীন জীবিকা হারানো পরিবারের মাঝে কাউন্সিলর জিয়াবুল হকের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে খাদ্য সহায়তা, উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।

নির্দিষ্ট একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেও তিনি পুরো পৌরসভায় খাদ্য সহায়তা বিতরণ করে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন। তার এই খাদ্য সহায়তা বিতরণও করা হয়েছে ব্যতিক্রমী উপায়ে। কোনো ধরণের জনসমাগম ছাড়াই বাড়ি বাড়ি গিয়ে নীরবে কর্মীর মাধ্যমে পৌরসভার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ও অলিগলিতে এই খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। খাদ্য সহায়তা তুলে দেয়ার সময় কাউন্সিলর জিয়াবুল হক প্রচার বিমুখ থাকার জন্য নিজে একটি ছবিও পর্যন্ত ধারণ করেননি।

মানবিক এ জনপ্রতিনিধি সর্বশেষ শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে কোভিড-১৯ করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশণ ও আইসোলেটেড এ থাকা দরিদ্র পরিবারের পাশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছেন কাউন্সিলর জিয়াবুল হক।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চকরিয়া পৌরসভার কৃতিসন্তান ও ৬নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিয়াবুল হক কাউন্সিলর হিসেবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলেও তার নির্বাচনী ওয়ার্ড নিয়ে তিনি মোটেও ব্যস্ত নন। তিনি বর্তমানে পৌরসভার আওতাধীন নয়টি ওয়ার্ডস্থ বিভিন্ন জনপদের পাড়া-মহল্লায় সৃষ্ট কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আক্রান্ত হওয়া পজিটিভ আসা অসহায় ও দরিদ্র রোগীর পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণে নিভৃতেই কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে সংকটে পড়া মানুষের জন্য তার এহেন মানবিক কর্মকান্ড দেখে পুরো পৌরসভা এলাকায় সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখের সঙ্গী ও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।

এছাড়া ইতিপূর্বে বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে পৌরসভার পাশাপাশি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে মানবিক সহায়তা হিসেবে গরিব, অসহায়, দরিদ্র, অস্বচ্ছল, এতিম, প্রতিবন্ধী, ক্যান্সার আক্রান্ত ও স্কুলসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ-মাদ্রাসা এবং এতিমখানা ছাড়াও সামাজিক নানা প্রতিষ্ঠানে প্রচার বিমুখ ছাড়া অসহায়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিরবে আর্থিক সহায়তা ও অনুদান প্রদান করেন।

করোনা আক্রান্ত দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ প্রসঙ্গে চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর তরুণ জননেতা জিয়াবুল হক কাছে জানতে চাইলে বলেন, ১৯৭১ সালে জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছিল দেশের মুক্তিকামী জনতা। স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে জাতির এ দুর্দিনে আমার যা কিছু আছে তা নিয়ে সংকটে পড়া দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষগুলোর মুখে একটু হাসি ফুটাতে আমার এ প্রয়াস। অসহায় মানুষগুলো সামান্য উপহার পেয়ে অপূর্ব হাসি দেখা যায় তাদের মুখে। এই হাসিটি ধরে রাখার জন্য যদি সামর্থ্য অনুযায়ী এদের পাশে দাঁড়াই তাহলে মানুষ হিসেবে নিজেকে সার্থক মনে করা যায়।

তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে জীবিকা হারানো কর্মহীন দিনমুজুর ও আক্রান্ত পরিবারকে সহায়তা হিসাবে মানবতার সেবায় যতটুকু পারছি নিজে সুরক্ষা বজায় রেখে মানবকল্যাণে কাজ করছি। মানবতার সেবায় কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতেই হবে। আর এলাকার অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে এক অন্যরকম তৃপ্তি খুঁজে পাই। ভোগের মাঝে সুখ নয় ত্যাগই হলো প্রকৃত সুখ। করোনার এই পরিস্থিতিতে বাইরে থাকি বলে পরিবার অনেক দুশ্চিন্তায় থাকে। এর মাঝেও দেশের মানুষের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। যেসব মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধবিত্ত পরিবার নিজেদের অস্বচ্ছল অবস্থা প্রকাশে সংকোচবোধ করছে এ ধরণের পরিবারকে খুঁজে বের করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু থেকে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা অদ্যবদি পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে অব্যাহত রেখেছি। যা পুরো জেলার মধ্যে অনন্য দৃষ্টান্ত ও বিরল বলে মনে করেন কাউন্সিলর জিয়াবুল। তিনি এর চেয়ে আরো বড় পরিসরে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন তার জন্য পৌরবাসীর কাছে দোয়া ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

শৈশব থেকে রাজনীতির অংঙ্গনে বেড়ে উঠা বর্তমান মানবিক জনপ্রতিনিধি হিসেবে ক্ষ্যাতি অর্জনকারী জিয়াবুল হক দৃঢ়চিত্ত্বে বিশ্বাস করেন, একজন রাজনৈতিক নেতা যদি সততার সঙ্গে কাজ করতে পারে সেই সততাই হচ্ছে তার সবচেয়ে বড় শক্তি, সততার শক্তি দিয়ে যেকোনো দুর্যোগ, যেকোনো দুর্বিপাক মোকাবিলা করা যায়। সততার শক্তি উঁচু গলায় কথা বলার সাহস জোগায়। সেই প্রয়াসে মানব সেবায় তাঁহার অবিরাম পথচলা।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ