• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে নিহত ৫

ডেস্ক নিউজ / ৬২ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৭ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার নন্দনপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যার হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয়টি সময় নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ ও হেফাজতকর্মীদের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে বিজিবিও যোগ দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। এতে আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও জানিয়েছন তারা।
এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ এবং চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রদের ওপর হামলার খবরে রেলস্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায় মাদ্রাসাছাত্ররা। এরপর থেকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর মহানগর গোধূলি আখাউড়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শোয়েব আহমেদ বলেন, বিকেলে কয়েকশ’ মাদ্রাসাছাত্র স্টেশনে এসে হামলা চালান। এ সময় তারা প্যানেল টিকিট কাউন্টার, প্যানেল বোর্ড ও যাত্রীদের চেয়ার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুমার নামাজের পর ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
হামলাকারীরা সরকারি-বেসরকারি অফিস, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, স্বাধীনতার নানা স্থাপত্য, পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ পুড়িয়ে দেয় রেলস্টেশনও। রেললাইনের ওপড়ে আগুন দেওয়া হয়। ফলে বিকেল ৪টা থেকে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন চলাচল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে বিক্ষুব্ধরা পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, স্কয়ারসংলগ্ন আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, পৌর মার্কেট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুল, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এলাকায় টানানো ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ছিঁড়ে অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় ভাঙচুর করা হয় বঙ্গবন্ধুর ছবিও। তবে পুরো সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নীরব থাকতে দেখা যায়।

একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ঝটিকা হামলা চালায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত থানা ঘেরাও করে রাখে তারা। এ সময় থানাসংলগ্ন দুটি সেতুতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করা হয়। হামলায় পুলিশের অন্তত ২০ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ছবি তুলতে গিয়ে মারধরের শিকার হন সংবাদকর্মীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মাদ্রাসাছাত্ররা মিছিল করে বিভিন্নস্থানে ভাঙচুর করেছে। এটিকে প্রতিরোধ করার জন্য আমরা কার্যক্রম চালিয়েছি। শহরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুত্র : সময় টিভি


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ