• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন

লামার ৭টি ইউনিয়ন কেন্দ্রে করোনার গণটিকা কার্যক্রম শুরু

Md Nazim Uddin / ২৭ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

“জনসাধারণকে বাঁচাতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে সরকার পরিবার বাঁচাতে টিকা নেওয়ার দায়িত্ব আপনার” এই শ্লোগানে বান্দরবানের লামায় বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৭টি কেন্দ্রে করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। লামায় প্রথম দিনে প্রায় ৩ হাজার ৬শত মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া টিকাদান কার্যক্রম বেলা ৪টা পর্যন্ত চলমান। লামায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন মধ্যে রয়েছে, গজালিয়া ইউনিয়ন, সদর, রুপসী পাড়া, ফাসিঁয়াখালী, আজিজ নগর, ফাইতং, সরই এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান, মোস্তফা জামাল, নির্বাহী অফিসার রেজা রশিদ, আওয়ামিলীগ সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মা, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর মধ্যে আজিজ নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন কোম্পানি ও ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দীন কোম্পানি,রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চাছিংপ্রু মার্মা, ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন বিএ, প্যানেল চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জুবাইরুল ইসলাম জুবাইর, ইউপি সদস্য শহিদুল্লাহ মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান শুক্কুর, মহিলা ইউপি সদস্য শাহেদা ইয়াসমিন শাহেদা, ইউপি হলায়াইং ছেন মার্মানী, বাবলু দাশ ফাইতং সহ স্বাস্থ্য পরিদর্শক, মহিউদ্দিন ফাইতং স্বাস্থ্য সহকারী, সৈয়দ খালিদ মাহমুদ স্বাস্থ্য সহকারী, মাজেদা বেগম, এফ ডব্লিউ সহ প্রমুখ। টিকা দিতে সকাল থেকে কেন্দ্রে ভিড় করেছেন ২৫ বছর ও তদূর্ধ্বরা।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের উপজেলা চেয়ারম্যান উপস্থিত উদ্বোধন এক ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়ে বয়ষ্ক ও প্রতিবন্ধীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চেয়ারে বসিয়ে তাদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া পৌরসভা এলাকার বসবাসরতরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।

ফাইতং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দীন কোম্পানি বলেন, সরকারী ভাবে জনসাধারণের জন্য করোনার টিকা প্রদানের জন্য আমার ইউনিয়নে সুশৃঙ্খল ও সারিবদ্ধ ভাবে প্রথমে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছি।রোদের জন্য ছায়ার ব্যবস্থা করে চেয়ারে বসিয়ে বয়স্ক মানুষদের টিকা গ্রহনের ও নারী-পুরুষ এর জন্য আলাদা লাইন ও টিকা গ্রহনের জায়গা করেছি।টিকা গ্রহন করে আমাদের জনসাধারণ যেন ১৫-২০ মিনিট রেস্ট নিতে পারে তারও ব্যবস্তা করা আছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী বলেন, আজকে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে জনগোষ্ঠী কে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা গ্রহনে কোন নেগেটিভ কিছু পাওয়া যায়নি। বৃদ্ধ, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের টিকা গ্রহনে আজকে আগ্রহ বেশী দেখা গেছে। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্র গুলিতে।পর্যায়ক্রমে সরকারী ভাবেই উপজেলার সকল জনগোষ্ঠী কে এই করোনা ভ্যাকসিন দোওয়া হবে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মাধ্যমে।

লাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা রশিদ বলেন, লামায় উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমি এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পরিদর্শনে গিয়েছি এবং সরকারী নির্দেশনামত সুষ্ঠু ভাবে ৩ হাজার ৬শত জন কে করোনার টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, সরকারী নির্দেশনায় আমি আগেই ২ ডোজ টিকা গ্রহন করেছি।আজকে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নেই ১,২ ও ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে মোট ৩ হাজার ৬শত জন মানুষকে সরকারী সম্পুর্ণ বীনা মূল্যে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমি উপজেলার কয়কটি ইউপিতে সরাসরী উপস্থিত হয়ে টিকা কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়েছি। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনামত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গন সুষ্ঠু সুশৃঙ্খল ভাবে জনসাধারণের টিকা গ্রহনের ব্যবস্তা করেছেন।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ