মারজান চৌধুরীঃ
কক্সবাজারের প্রান কেন্দ্র জেলা শহরে চলছে ইয়াবার অবাধ বাণিজ্য। শহরের বিভিন্ন র্স্পটে গড়ে উঠা এসব মরণনেশা ইয়াবার আখড়ায় যাতায়াত করে এলাকার যুব সমাজ বিপদগামী হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রবাদ আছে“এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার”। কিন্তু দিনে দিনে নৈতিক অবক্ষয়ের সূত্র ধরে যুব সমাজ আজ ধবংসের মুখোমুখি।
জানা যায়, শহরে বিভিন্ন অলি-গলি যেন নেশার এলাকা পরিণত হচ্ছে দিন দিন। হাত বাড়ালে মিলছে ইয়াবাসহ সকল প্রকারের মাদক দ্রব্য। হাতের নাগালে পেয়ে যুব সমাজ ধাবিত হচ্ছে ধবংসের ধারপান্তে। ইতোমধ্যে পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ খুচরা ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হলেও মুল হোতারা রয়েছে অধরাই।
জানাযায়, চলমান ইয়াবা বিরুদ্ধী অভিযান থেকে নিজেদের আত্মরক্ষা করতে টেকনাফ ও উখিয়ার চিহ্নিত অসাধু ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নিজেদের নিরাপদ রাখতে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন কটেজ, হোটেল মোটেল জোনকে বেঁচে নিয়েছে। এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণ দেখে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আবার পুলিশের অভিযান কোন দিকে মোড় নিচ্ছে তা দুর থেকে মনিটরিং করতেছে শহরে অবস্থান করা উখিয়া ও টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিশাল একটি অংশ।
অপরদিকে মাদকের আকার ছোট হওয়ায় সু-কৌশলে জনসম্মুখে বিক্রি করলেও আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসছে না। ভয়ংকর মাদক ইয়াবা এখন দেশের আনাচে কানাচে ব্যাপক আকার বিস্তৃতি লাভ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ির মধ্যে টিকতে না পেরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে বাঘা বাঘা ১০২ জন ইয়াবা কারবারী আত্মসর্মপণের পর কোন মতে বন্ধ করা যাচ্ছেনা ইয়াবা ব্যবসা। নিত্য নতুন কৌশল পাল্টিয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা কারবারিরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরধারী পরও তারা সড়ক পথ ছাড়াও নৌ-চ্যানেল দিয়ে ইয়াবার বড়-বড় চালান কক্সবাজারে সমিতি পাড়া এলাকার নাজিরের টেক উপকূলে খালাস হচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
টেকনাফ থেকে আসা ইয়াবা পাচারের নতুন রুট সাগর তীরবর্তী উপকূলকে বেঁচে নিয়েছে অনেকে। কয়েক বছর আগেও যারা মজুরী করে ও সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাদের জীবন যাপনে হঠাৎ এসেছে অস্বাভাবিক পরিবর্তন। অল্প সময়ে অনেকে হয়েছেন কোটি-কোটি টাকার মালিক। মাছ ধরা পেশার আড়ালে অধিকাংশ জেলে জড়িয়ে পড়েছেন ইয়াবা ব্যবসায়। তৈরী করছেন একাধিক মাছ ধরার ট্রলার। যে সব ইয়াবা কক্সবাজার উপকূলে খালাস হচ্ছে পরবর্তীতে এসব ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
সচেতন লোকজন জানিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠেছে ইয়াবা,গাজা ও বাংলা মদের মহাল। তবে আধুনিকায়ন যুগে এখন উঠতি বয়সের যুবকরা দাবিত হচ্ছে ইয়াবার দিকে। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা চালালেও বড় ধরনের কোন অভিযান চালায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাআঙ্গুলি দেখিয়ে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা করেই চলছে। পুলিশ বলছে, শহরের মাদকের স্পর্ট গুলোতে পুলিশের পক্ষে থেকে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে। গুটি কয়েক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন সময়। এরপরও বন্ধ হচ্ছেনা ইয়াবা ব্যবসা। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোঃ ফরিদ উদ্দিন খন্দকার (পিপিএম) বলেন, মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নাই। মাদক বিরুদী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ###