• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

চাহিদা বাড়ছে কক্সবাজারের অর্গানিক শুঁটকীর

নিউজ রুম / ৯৪ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

ইমাম খাইর,

এক সময় শুঁটকীর প্রতি তেমন একটা আকর্ষণ ছিল না। অনেকটা গরীবের খাবার হিসেবেই শুঁটকীকে বিবেচনা করা হতো। ইদানিং পাল্টেছে সেই ধারণা। যে কোন আয়োজন বা অভিজাত পরিবারের খাবার মেন্যুর আধুনিক সংযোজন কিন্তু এখন শুঁটকী। সেইসাথে পাল্টেছে শুঁটকী তৈরীর মান্দাতা আমলের প্রক্রিয়া। যোগ হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি। বাড়ছে চাহিদা-সচেতনতা।

দেশের বৃহত্তম শুঁটকী মহাল কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ, শহরের নাজিরাটেক, নুনিয়ারছরা, সদরের খুরুশকুল উপকূলে। এখানকার শুঁটকী মানে-গুনে সেরা। তাই দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত। তবে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মোনাফার লোভে বিষ মেশানোর কারণে বদনামও হচ্ছে। তাই সচেতন ক্রেতারা অর্গানিক শুঁটকীর প্রতি দিনদিন ঝুঁকছে। এসব বিবেচনায় রেখে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠছে অর্গানিক শুঁটকীর প্রতিষ্ঠান।

কক্সবাজার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বিমানবন্দর সড়ক সংলগ্ন এলাকায় (উত্তর নুনিয়ারছরা) বছর খানেক আগে যাত্রা করে ‘অর্গানিক বাইট বিডি’ নামের একটি শুঁটকীর প্রতিষ্ঠান। মাত্র দুইটি শেডে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা হলেও এখন চাহিদা বেড়েছে তিনগুণের বেশী। যেই প্রতিষ্ঠানে মাসে ৩ টন মতো শুঁটকী উৎপাদন হতো সেখানে এখন চাহিদা বেড়ে প্রায় ১৫ টনে দাঁড়িয়েছে। ‘অর্গানিক বাইট বিডি’-তে উন্নতমানের প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ সূর্যের তাপে শুঁকানো হয় বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। রয়েছে ৭ জন মতো দক্ষ কর্মকর্তা ও শ্রমিক।

সরেজমিন দেখা গেছে, চারিদিকে পর্যাপ্ত আলোবাতাস সমৃদ্ধ খোলামেলা জায়গায় বসানো হয়েছে মাচাং ও নেটের শেড। ছুরি, লইট্টা, লাক্কা, পোয়া, চিংড়ি ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছ পরিস্কার পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাচ্ছে শ্রমিকরা। মাছে যাতে মাছি না বসে, সে জন্য নেটের শেড ব্যবহার করা হচ্ছে। মাছি তাড়াতে ফ্যান ব্যবহার করা হয়। প্রক্রিয়া শেষে মাছগুলো উন্নতমানের পলিব্যাগে ভরে রাখা হয়। সাধারণতঃ শুঁটকী থেকে দুর্গন্ধ বের হলেও এগুলো কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। উন্নতমানের প্রক্রিয়াকরণের কারণে গুদামঘরে ঢুকলেও তেমন গন্ধ নেই। মাছগুলো দেখতে এক্কেবারে চকচকে।

শনিবার (৪ জানুয়ারী) দুপুরে ‘অর্গানিক বাইট বিডি’ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাসির উদ্দিন। তিনি শুঁটকী প্রক্রিয়াকরণ দেখে সন্তুষ্টির কথা জানান। নিজের বাসার জন্য বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ নেন।

প্রতিষ্ঠানটির কর্নধার মু. তৌফিক ইমাম জানান, সূর্যের তাপে শুঁকিয়ে সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে মাছগুলো শুকানো হয়। মাছের গায়ে একটি মাছিও বসার সুযোগ নেই। শতভাগ অর্গানিক পদ্ধতিতে শুঁকানোর কারণে চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে শহরের অভ্যন্তরে একটি ‘ডিসপ্লে সেন্টার’ স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ