নিজস্ব সংবাদদাতা,মহেশখালীঃ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর এক অসহায় শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে নজির স্থাপন করলেন কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (চেয়ারম্যান) প্রার্থী যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম ।
যখন করোনার প্রভাবে মানুষ গৃহবন্দী আর অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বেঁচে থাকার জন্য করোনার পাশাপাশি ক্ষুধার সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। এ দু:সময় অসহায় মানুষের পাশে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না অনেক এলাকার জনপ্রতিনিধিদেরও।
অপরদিকে করোনাকালে তরকারি নয় কিনুন মানবতাকে! উপজেলার কালারমারছড়া নোনাছড়ি বাজারে গত সোমবার বিকালে হতদরিদ্র পরিবারের স্থানীয় জয়নাল আবেদীনের মোবারকা সোলতানা (রাইফা) নামক ৬ বছরের ফুটফুটে এক মাদ্রাসা শিশু নিজের বাড়ীর ক্ষেতের অল্প কিছু কচুর লতি নিয়ে করুন মুখে বসে আছে বিক্রিয় করার জন্য। কিন্তু বর্তমান সময়ের কচুর লতির চাহিদা তেমন না থাকায় কেউ শিশু মেয়েটির কচুর লতির দিকে কিনতে যায়নি।
তাই শিশুটি তার তরকারি বিক্রি হবেনা চিন্তা করে তার চেহারায় অসহায়ত্বের চাপ ফুটে উঠে। শিশু কন্যাটির এমন একটি ছবিসহ স্থানীয় সংবাদকর্মী হোবাইব সজীবের টাইম লাইনে শিরোনাম হলে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া তার পরিবার কুড়ে ঘরটি ও ঝরার্জীণ। ঠিক এমন সময় ফেসবুকের সূত্র ধরে শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার পরিচয় দিলেন উপজেলার সবচেয়ে তরুণ সমাজ সেবক পাশ্ববর্তী শাপলাপুরের বাসিন্দা দিদারুল ইসলাম।
তিনি তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে আজ ৩০ জুন মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার সময় উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ির পশ্চিম পাড়া গ্রামের হতদরিদ্র, মোবারকা সোলতানা শিশু মেয়েটির কর্মসংকটে থাকা পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, আলু, পিঁয়াজ, সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন নিজ অর্থায়নে। এবং মাদ্রাসার পড়ালেখার সব দায়িত্ব নিয়েছেন এ তরুণ সমাজ সেবক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সাংবাদিক হোবাইব সজীব, ফুয়াদ মোঃ সবুজ, রকিয়ত উল্লাহ, শাহরিয়া বাবু প্রমূখ। জানাগেছে, তার নিজ এলাকায় একজন উদার সমাজসেবক হিসাবে সুপরিচিত রয়েছে দিদারুল ইসলাম। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি এলাকায় মানুষের সুখ দুঃখে পাশে থেকে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করে চলেছেন। এছাড়াও অনেক গরীব ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ নিজে বহন করেন। তাছাড়া এলাকার রাস্তা ঘাট সংস্কার, মসজিদ, মন্দির, এতিম খানায় আর্থিক সহযোগিতা ও অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সহ নিজের অর্থে গরীব অসহায় মানুষের বাড়ি পর্যন্ত তৈরী করে দিয়েছেন। এমন সব গুণের কারনে সকল মানুষের মনে তিনি ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন বলে চাউর হচ্ছে। ফলে প্রশংসার জুয়ারে ভাসছেন সমাজ সেবক ও রাজনৈতিকবিদ একজন দিদারুল ইসলাম।
শিশুটির পিতা জেলে জয়নাল আবেদিন বলেন, এই সংকটময় মুর্হুতে মানবসেবায় এগিয়ে আসা দিদারুল ইসলামকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এছাড়া আমার সন্তান স্থানিয় বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ২য় শ্রেণীতে পড়ুয়ার মেয়েটির পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়ে যে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন তা অত্র এলাকায় মাইলফলক হয়ে থাকবে।
Channel Cox News.