• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৫ অপরাহ্ন

অভিযুক্ত রেঞ্জার সুলতানকে সদস্য করে মহেশখালীতে বনকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি! ChannelCox.com

নিউজ রুম / ১৩ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০২০

ইয়াছিন আরাফাত,মহেশখালী:

চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের আওতাধীন মহেশখালী রেঞ্জের কেরুনতলী বিটের করইবুনিয়া নামক এলাকায় স্থানীয় ভুমিদস‍্যুদের সাথে বন কর্মীদের হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরীকে সদস্য করে তিনজন বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগ। এতে ন‍্যায় বিচার না পাওয়ার শঙ্কায় হতাশ হামলার শিকার সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দিনের পরিবার।

উল্লেখ্য এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফরেস্ট্রি ডিপ্লোমা শেষ করার পর মহেশখালী রেঞ্জে শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগ দেন সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দীন। তবে রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরীর সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ক্ষতি করে অবৈধ সুযোগ সুবিধা প্রদানের বিনিময়ে অবৈধ টাকার লেনদেন সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফের পছন্দ না হওয়ায় প্রথম থেকেই তার সাথে বনিবনা হতোনা। এবং এজন‍্য প্রায় সময় তাদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিত। এরই ধারাবাহিকতায় রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী তাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ক্ষতি করার লক্ষ্যে রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরীর সাক্ষরিত ২২.০১.০০০০.৭৬৩.০৫.০০.২০২০.৩৬৮নং পত্রে, কেরুনতলী বিটে সার্বক্ষণিক অবস্থান পূর্বক টহল কার্য পরিচালনা করিয়া সকল প্রকার বন অপরাধ দমনের মতো টহল দলের প্রধান করে এককভাবে আদেশ জারি করে গত ১০ই জুলাই।

যদিও একজন রেঞ্জার থাকা সত্বেও ডিপার্টমেন্টে যোগদান করা একজন শিক্ষানবিশকে এই ধরনের ফোর্সে প্রধান করে ঝুকির মুখে ঠেলে দেওয়া সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাছাড়া উপকূলীয় বন বিভাগের অনুমতি ব‍্যতীত এমন আদেশ স্পষ্টতই অনিয়ম। উক্ত আদেশে গত ৩০ জুলাই রেঞ্জের কেরুনতলী বিটের করইবুনিয়া নামক এলাকায় অবৈধ পানের বরজ নির্মাণে বাধা দিতে গেলে নাটকীয়ভাবে কেবল টহল দলের প্রধান তথা সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দিন পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়ে গুরুতর জখম হয়। এরপর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন উক্ত পরিকল্পিত ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন‍্য রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরীকে সদস‍্য করে তিন সদস‍্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগ।

যদিও গত ৬ই জুলাই (বৃহস্পতিবার) লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন তিনি মৃত্যু বরণ করেন। গত ৩ই আগষ্ট ২২.০১.০০০০.৭৫১.২৮.০১.২০২০.১৩৩২ নং পত্রে ৩৪নং আদেশে উক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগ কর্মকর্তা এস এম গোলাম মাওলা।

এদিকে উক্ত হামলার ঘটনায় রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরীকে অভিযুক্ত করছে তার পরিবার। এবং সিপ্লাস টিভিকে ইতিমধ্যে একটি ভিডিও সাক্ষাত দিয়েছে নিহত ইউসুফের পিতা। তাই অভিযুক্ত একজন ব‍্যক্তিকে উক্ত ঘটনারই তদন্ত কমিটির সদস্য করাকে বিচারকার্য সুষ্ঠু না হওয়া একটি লক্ষণ হিসেবে দেখছে সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দীনের পরিবার। রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরীকে বাচাতেই এমনটা করা হয়েছে বলেও প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে।

রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দীনের পিতা নিজাম উদ্দীন বলেন, মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী-ই পরিকল্পিত ভাবে আমার ছেলেকে হত‍্যা করেছে। সেখানে তাকেই তদন্ত কমিটির সদস‍্য করা গভীর ষড়যন্ত্রের লক্ষণ। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন এবং সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী এবং জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব‍্যাবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ