• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

চাকমারকুল মাদরাসার বিরুদ্ধে ধনকুবের ষড়যন্ত্র

নিউজ রুম / ১২২ ভিউ টাইম
আপডেট : রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী রামু চাকমারকুল মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছেন এইচএম নুরুল আলমসহ একটি চক্র। চক্রটি তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
ধনকুবের নুরুল আলম কখনো প্রকাশ্যে আবার কখনো আড়ালে থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি দিয়ে মামলা করিয়েছে মাদ্রাসার মুহতামিমসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
মিথ্যা ও মানহানিকর এসব মামলায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অব্যাহত নানামুখি ষড়যন্ত্র ও নিজের অপকর্ম ঢাকতে চাকমারকুলের ‘ধনকুব’ হিসেবে পরিচিত এইচ.এম নুরুল আলমের অপপ্রচারের জবাব দিয়েছেন রামুর চাকমারকুল মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ২৭ জুলাই দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকার প্রথম পৃষ্টায় ‘এবার মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে রামু চাকমারকুল মাদরাসার মুহতামিম’ শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে- তা ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা’ মাত্র।
তিনি বলেন, গত ২৬ জুলাই একই পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘চাকমারকুলের ধনকুবের নুরুল আলমের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে নুরুল আলমের উত্তান তথা পয়সাওয়ালা হওয়ার বিস্তর কাহিনী উঠে এসেছে। নুরুল আলমের কোথায় কি পরিমাণ দৃশ্যমান সম্পদ আছে? তার আগের অবস্থানের তুলনায় বর্তমান কেমন অবস্থান? কিইবা তার শিক্ষাগত যোগ্যতা? সেই দিনের নুরুল আলম আলাদিনের চেরাগ কোথায় পেল? তা সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক তুলে ধরেছেন।
মাওলানা সিরাজুল ইসলাম বলেন, নুরুল আলমের অস্বাভাবিক সম্পদের উৎস অনুসন্ধানের জন্য স্থানীয় আবদুল গফুরের ছেলে আবদুল বারি গত ১৪ জুলাই আইজিপির কাছে চিঠি প্রেরণ করেছেন। সেই চিঠির অনুলিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দুদক চেয়ারম্যান, এনবিআর চেয়ারম্যান, র‌্যাব মহাপরিচালকের কাছেও দিয়েছেন বলে সংবাদে প্রকাশ পেয়েছে।
সুস্পষ্ট অভিযোগকারীর অভিযোগের সুত্রে সংবাদটি প্রকাশ হলেও তার জন্য দুষেছেন আমাকে। সংবাদে নুন্যতম আমার সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ নেই। তথাপিও আমার বিরুদ্ধে উল্টো প্রতিবাদলিপি পাঠিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করেছেন নুরুল আলম।
এখানে উল্লেখ করা দরকার, সংবাদে নুরুল আলমের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলা হয়েছে, তার জবাব দেননি তিনি। কৌশলে অভিযোগসমূহ পাশ কাটিয়ে ভিন্ন ইস্যু অবতারণা করে পত্রিকায় প্রতিবাদলিপি ছেপেছেন। মাদরাসার বিরুদ্ধে তার দীর্ঘদিনের অবস্থান ও নানামুখি ষড়যন্ত্রের প্রমাণ নিজেই দিয়েছেন।
মাওলানা সিরাজুল ইসলাম প্রশ্নের সুরে বলেন- প্রতিবাদে নুরুল আলম কলেজে পড়া অবস্থায় খামার করে লাখপতি হয়েছেন- দাবী করেন। প্রশ্ন হলো- তিনি কোন স্কুল/মাদরাসা থেকে এসএসটি পাশ করেছেন? কোন কলেজে পড়েছেন? সামান্য তেল ব্যবসা করে কিভাবে কোটি টাকার মালিক হলেন? নুরুল আলমের অঢেল সম্পদের উৎস তদন্ত করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি অনুরোধ করেছেন মাওলানা সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য একেকজনকে বাদি বানিয়ে আমিসহ মাদরাসার বিভিন্ন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা করিয়েছেন। যার সাথে ঘটনা ও বাস্তবতার কোন মিল নেই। সর্বশেষ আমার বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকার একটি চেকের মামলা করে নিজের জালিয়াতি ধরা দিয়েছেন। টাকা গ্রহীতা নুরুল ইসলামের পক্ষে জামিনদার হিসেবে আমি চেক দিলেও দুই কিস্তিতে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ২ লাখ টাকা দিতে চাইলে মামলার কুমতলবে তিনি নেননি। পরে ৫ লাখ টাকা দাবী করে আদালতে মামলা করেন।
লজ্জাজনক বিষয় হলো- ২০১৭ সালে দেয়া চেককে ২০১৯ বানিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নেন নুরুল আলম। অথচ ২০১৭ সালে দুই তারিখে ৩ লাখ টাকা গ্রহণের ডকুমেন্ট রয়েছে। যা আদালতে প্রমাণ হবে।
নুরুল আলমের মিথ্যা প্রতিবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ করছি। সেই সাথে মাদরাসার বিরুদ্ধে তার ষড়যন্ত্র বন্ধ ও অস্বাভাবিক সম্পদের উৎস্য অনুসন্ধান করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ