• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন

সড়ক নয় যেন মরণ ফাঁদ, দক্ষিণ ধুরুং আশা হাজীর পাড়া সড়কের জরাজীর্ণ দশা

Md. Nazim Uddin / ১৯ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১

কাইছার সিকদার:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আশা হাজীর পাড়া ব্রাক শেল্টার সড়কের জরাজীর্ণ অবস্থা, এক যুগেরও বেশী সময় ধরে এলাকাবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগের কাহিনী দেখার যেন কেউ নেই৷ বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সারাদেশব্যাপি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসলেও অনাকাঙ্খিত ভাবে গ্রামের কিছু কিছু জায়গায় এখনো চলাচলের দুর্দশা লাগব হয়নি৷ প্রায় দেড় কিলোমিটারের আশা হাজীর পাড়া এই সড়কে রয়েছে এলাহিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাহ রশিদিয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসার চার শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মসজিদ গামী বহু মুসল্লির যাতায়াত৷ একই সড়কে রয়েছে একটি আশ্রয় কেন্দ্র, দুর্যোগকালীন সময়ে নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া যেন আরো বেশী ঝুঁকিপূর্ণ৷ দেড় কিলোমিটারের এই সড়কে প্রায় সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে ভাঙ্গা ও জরাজীর্ণ অবস্থা, এটা সড়ক নয় যেন মরণ ফাঁদ৷

স্থানীয় বাসিন্দা সোলায়মান(৮০) নামে এক বৃদ্ধ জানান, যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে অনেক আগে থেকেই বর্তমানে পায়ে হেঁটে চলাচল যেন দায় হয়ে পড়েছে৷

অত্র এলাকার বাসিন্দা দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ হোসেন জানান, বিশেষ করে বিদ্যালয়গামী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য বেশী ঝুঁকিপূর্ণ এবং বর্ষা মৌষুমে তা হয় আরো ভয়ঙ্কর৷ লোকজন বাজারে যাওয়া-আসা এমনকি হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া অবর্ণনীয় কষ্টের৷ প্রায় ১৫ বছর আগে ইট দ্বারা কাঁচা অবস্থা থেকে রাস্তাটির উন্নয়ন হলেও পরবর্তীতে সামান্য সংস্কার ছাড়া গত ৬/৭ বছরে সরকারী ভাবে কোন উন্নয়ন কিংবা সংস্কার হয়নি।

এব্যাপারে স্থানীয় দক্ষিণ ধূরুং ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমদ চৌধূরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান দীর্ঘ একযুগ ধরে সড়কটি অবহেলিত হয়ে পড়েছে৷ এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রায় তিন থেকে চার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে৷ এই সড়ক মেরামতের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পরিষদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়৷

কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানের সাথে এ সড়কের ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, সড়কটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে৷ আরসিসি দ্বারা সড়কটি উন্নয়নের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে৷


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ