• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন

স্থানীয়দের জমি দখল করে নির্মাণ কাজের অভিযোগ, ডিআরসির ৪ কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিউজ রুম / ১২৬ ভিউ টাইম
আপডেট : রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯

বিশেষ প্রতিবেদক : স্থানীয়দের জমিতে রোপিত গাছ কেটে বাঁশ শোধনাগার তৈরী ও ড্রেনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও ডিআরসি (ডেনিস রিফিউজি কাউন্সিল)-এর ৪ কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে গাছ লূট ও কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির। ২৫ জুলাই কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-২ এ সি.আর মামলা নং-২৪৪/১৯ দায়ের করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী মোঃ আবদুল মন্নান। তিনি উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বালুখালী এলাকার মরহুম মৌলভী আবদুল হকের ছেলে।
মামলায় আসামী করা হয়েছে- ডিআরসির কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. ছোজান ক্লার্ক, লজিস্টিক অফিসার আনিস, সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর মোবাশ্বের ইসলাম, টিম লিডার সঞ্জয় সেন্টাল ও ঠিকাদার তাহের আহমদ।
মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে উখিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক জেরিন সুলতানা। সেই সঙ্গে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মতে থানায় মামলা এন্ট্রি করা হয়েছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ আবুল মনসুর। যার মামলা নং, জিআর-৩৬৫/১৯।
জনতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, বাদি পক্ষের জমির মালিকানার কাগজপত্র ও সরেজমিন তন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মামলার বাদি এডভোকেট মোঃ আবদুল মন্নান বলেন, আমার বোন ও ভগ্নিপতির মালিকানাধীন প্রায় কোটি টাকার জমিতে রোপিত গাছগাছালি কেটে চাচলের রাস্তা ও ব্রীজ ধ্বংস করে পাকা দেয়াল নির্মাণের কাজ করছে ডিআরসি। ইমারত নির্মাণ আইন অমান্য ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ব্যক্তি মালিকানাধীন তপশীলভুক্ত জমিতে পাকা বাড়ি ও বাঁশ শোধনাগার তৈরী করেছে। তাতে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৩০ লাখ টাকার। চুরি করে নিয়ে গেছে ১৫ লাখ টাকার মতো গাছ। বাঁশ শোধনাগার নির্মাণের জন্য যারা জায়গা দিয়েছে, তারাও এমন পরিবেশ বিধ্বংসী কাজের বিষয়ে অবগত নয় বলে জানিয়েছে।
তিনি বলেন, পানির গতিপথ পরিবর্তনের কারণে স্থানীয়রা চলাচল করতে পারছেনা। বর্জ্যরে দূষিত পানির কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। হুমকির মুখে ফেলেছে স্থানীয়দের জীবনযাত্রা। তাদের কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ডিআরসির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও গুরুত্ব দেয়নি। উল্টো মামলা করে বাদিকে দেশ ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে।
বাদি পক্ষের আইনজীবী মোঃ রেজাউল করিম রেজা বলেন, মানবতার নাম দিয়ে অন্যের খতিয়ানভুক্ত জমি দখল করে কাজ করছে ডিআরসি। তারা দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। জমির প্রকৃত মালিকদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতার জোর দেখিয়ে ইতোমধ্যে ডিআরসি বাদিপক্ষের মালিকানাধীন জায়গায় প্রায় ১০০ ঘরসহ স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা নির্মাণ করেছে। প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করেছে। অভিযুক্তদের কারণে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়ক মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে বলে দাবী করেন বাদি পক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ