• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন

ঝুঁকিপূর্ণ সৈকতের বালি দিয়ে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা, এলাকাবাসির বাঁধা

Md. Nazim Uddin / ১৪ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

কাইছার সিকদার:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলাধীন উত্তর ধুরুং এর পিল্লার পাড়া চেয়ারম্যান সড়কের নির্মাণ কাজে ঐ এলাকা সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত থেকে অবৈধ ভাবে বালি নিয়ে রাস্তা ভরাট করতে চাইলে এলাকাবাসির জোর প্রতিরোধের মুখে তা ব্যর্থ হয়৷ উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মাহিন্দ্রা লাল গাড়ির মালিক আবুল কালাম(৪০) এর বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূত এই সৈকতের বালি উত্তোলনের অপচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় এলাকাবাসি৷

জানা যায় চেয়ারম্যান রোড় নামে প্রায় ১৩০০মিটার এই সড়কটি আজম সড়ক থেকে এন হোসাইন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বেরিবাঁধের সংযোগ স্থল পর্যন্ত পাকা করনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে, বালির স্থর ভরাটের জন্য সড়কে বক্স করা হয়েছে৷ বিপত্তি বাঁধে ভরাটের জন্য সমুদ্র সৈকত থেকে বালি তোলতে গিয়ে, প্রতিরোধ গড়ে তোলে এলাকাবাসী৷ তাঁদের অভিযোগ ঝুঁকিপূর্ণ এই বেরিবাঁধ সংলগ্ন জায়গা থেকে বালি নিয়ে ফেললে বর্ষায় বেরিবাঁধের ক্ষতি হতে পারে৷

জাবের আহমদ(৪৫) নামে ঐ এলাকার বাসিন্দা বলেন, সড়ক নির্মানের জন্য সৈকতের বালি নিতে হবে এমন কোন নিয়ম আছে বলে আমরা মনে করি না৷ সৈকতের বালি যদি নিতেই হয় ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে না নিয়ে অন্য জায়গা থেকে নিতে পারে আমাদের তাতে আপত্তি নেই৷

এলাকার বাসিন্দা রবিউল হোসেন(৩০) বলেন, আমরা রাস্তা চাই তবে বেরিবাঁধের ক্ষতি করে নয়৷ বর্ষায় প্রয়োজনে নৌকা নিয়ে চলাফেরা করব তবুও বেরিবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হোক এটা আমরা চাইনা৷ আর সরকারি উন্নয়ন কাজে বালি নেওয়ার কথা বলে গাড়ির মালিকেরা সবসময় রাতের আধারে নির্ধারিত সড়কে স্বল্প সংখ্যক বালি ফেলে বেশিরভাগ বালি বিক্রির উদ্দেশ্যে অন্যত্র ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় নিয়ে যায় বলে তিনি আপত্তি করেন৷

মাষ্টার আবুল কালাম(৭৫) বলেন, রাস্তা নির্মাণ হোক সেটা অবশ্যই চাই, কিন্তু আমরা বালি উত্তোলনের জন্য যে স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছি সেখান থেকে তারা বালি নিতে কেন নারাজ সেটা আমাদের বোধগম্য নয়৷

এলাকার বাসিন্দা উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এম কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এলাকাবাসির সুবিধার্থে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হোক সেটা অবশ্যই আমি চাই, তবে সেটা যাতে ভাঙ্গাগড়ার খেলায় যাতে পরিণত না হয়৷ রাস্তা করতে গিয়ে বেরিবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমি ও চাইনা৷ রাস্তা তৈরির কাজে সহযোগীতা করতে আমি প্রস্তুত কিন্তু পরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্ট নিরাপদ জায়গা থেকে বালি নিয়ে সেটা করা হোক এটাই কাম্য৷

স্থানীয় চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী জানান, আমি এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি, যে স্থান থেকে বালি নেওয়ার কথা বলেছে সেই স্থান থেকে বালি নিলে বেরিবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ আমি টিকাদারের প্রতিনিধির সাথে কথা বলেছি তাঁরা জানিয়েছেন অন্য জায়গা থেকে বালি নিয়ে এসে শীঘ্রই কাজ শুরু করবে৷ বেরিবাঁধ অক্ষত রেখে সড়কের কাজ হোক এটা আমি চাই কারণ সড়কটি এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷

কুতুবদিয়া এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জামাল উদ্দীন এ ব্যাপারে বলেন, ১৩০০মিটার পিল্লার পাড়া সড়কের কাজ চলমান কিন্তু দু-একদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে সেটা কি জন্য জানা নেই৷ ভরাটের জন্য বাইরে থেকে বালি এনে কাজ করার মত পর্যাপ্ত বরাদ্ধ নেই৷ বালির জন্য কাজ বাঁধাগ্রস্ত হলে নির্ধারিত সময়ে সড়কের কাজ সমাপ্তে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি৷


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ