• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন

কলাতলী ডলফিন মোড়ে ট্রাকচাপায় ২জনের প্রাণহানি ৯জন আহত

Md. Nazim Uddin / ১৩ ভিউ টাইম
আপডেট : রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১

কলাতলী ডলফিন মোড়ে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে একজন ও পরে সদর হাসপাতালে একজন। এ ঘটনায় তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং কয়েকজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরও অন্তত ৫-৬ জন ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা প্রত্যক্ষদর্শীদের।

শনিবার (৬ মার্চ) রাত ১১ টায় কলাতলীর ডলফিন মোড়ের হোটেল ওয়ার্ল্ড বীচ রির্সোটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও ট্রাফিক পুলিশ।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম দুজনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, এখনও তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলীর ঢালে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক দুটি সিএনজি অটোরিকশা এবং দুটি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে প্রায় ১০-১৫ জন ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে।

এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা।

ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সোলতান ঘটনাস্থল থেকে জানান, টার্মিনাল থাকলেও অদৃশ্য কারণে বাইপাস সড়কের উভয় পাশে কলাতলীর বিচ পয়েন্ট এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের বাস এবং পর্যটকসেবী যানবাহন পার্কিং করে রাখে। ফলে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ও যানজট নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া একটু রাত হওয়ায় ঢালুতেও বেপরোয়াভাবে নামতে গিয়ে ট্রাকটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিমত। সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান চেয়ারম্যান টিপু।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ

সোমালিয়া উপকূলে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ তিনদিন ধরে একই অবস্থানে রয়েছে। তবে দস্যুদের সাথে জাহাজ মালিকপক্ষের কোনো যোগাযোগ হয়নি এখনও। ফলে নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষা বাড়ছে। আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জিম্মিদশার ৮ দিন চলছে। নাবিকদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে পরিবারের। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাদের স্বজনদের। জানা গেছে, জাহাজটি বর্তমানে গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ৪০/৪৫ নটিক্যাল মাইল উত্তরে অবস্থান করছে। যেটি সোমালীয় জলদস্যুদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। মুক্তিপণ বা দাবি-দাওয়া নিয়ে দস্যুদের যোগাযোগের অপেক্ষায় রয়েছে জাহাজ মালিকপক্ষ। তবে নাবিকরা সবাই সুস্থ রয়েছে বলে দাবি করছে মালিকপক্ষ। কেএসআরএম’র মিডিয়া এডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, সবশেষ তথ্য অনুযায়ী নাবিকরা সবাই ভালো আছেন, সুস্থ্য এবং নিরাপদে আছেন। জিম্মিদের অক্ষত অবস্থায় তাদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে, সোমবার (১৮ মার্চ) গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়, জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধার করতে সোমায়িলার পুলিশ ও বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সোমালিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে জাহাজটির মালিকপক্ষ বলেছে, এ ধরনের অভিযানের বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।