• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন

মাদ্রাসার শিক্ষক ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ৪র্থ স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

চ্যানেল কক্স আপনার পাশে / ২০ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১

মিছবাহ উদ্দীন (আরজু), মহেশখালী:

মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারা মহিউচ্ছুন্নাহ দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্যে নির্যাতন, মামলা ও অপহরনের হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার ৪র্থ স্ত্রী নাইমা সোলতানা ৷

সংবাদ সম্মেলনে নাইমা সোলতানা নিজ স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্র পাঠ করে শুনান ৷
তিনি বলেন, বহু অপকর্মের হোতা হাফেজ ওমর ফারুক (৪০) পিতা-মৃত মৌঃ মােছাদ্দেকুর রহমান, সাং-পশ্চিম সিপাহীর পাড়া, ০১নং ওয়ার্ড, ছােট মহেশখালী, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার
প্রতারক, নারী লোভী প্রকৃতির লোক হয় ৷
বিগত ৩০/০৭/২০২০ ইং তারিখে ওমর ফারুকের সাথে ইসলামী শরীয়তের বিধান মতে আমার বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে ওমর ফারুক পরকীয়া প্রেমে মগ্ন থেকে যৌতুকের দাবীতে আমাকে মারপিট সহ শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে।
পরবর্তীতে গত ০২/০১/২০২১ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় উপরােক্ত ওমর ফারুক তার অপরাপর ভাইদের ইন্দনে আমাকে যৌতুকের দাবীতে মারপিট করতঃ ঘর হতে বের করে দেয় ৷
আমি উক্ত বিষয় নিয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-০২, কক্সবাজার বরাবরে সি,পি মামলা নং-১৩/২০২১ইং দায়ের করি।
মামলার বিষয়ে তারা জানতে পারলে মােবাইল ফোন সহ বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকদের হুমকি ধমকি দিতে থাকে । ইত্যবসরে গত ২৯/০১/২০২১ইং বিকাল অনুমান ০৪.৩৭ ঘটিকার সময় ওমর ফারুক তার ব্যাবহৃত ০১৮১৮৮৬৯৫৩২/০১৮২৮০২৫১১৫ ফোন নাম্বার হতে আমার ব্যবহারের ০১৬৪০৭০০২৩৭ ফোন নাম্বারে কল করে আমাকে এই বলে যে, এত ছােট মামলা করে আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা ৷ আরাে বড় মামলা করার চেষ্টা কর। যদি বিবাদীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তুলে না নিই, তাহলে আমাকে, আমার পরিবারের লােকজনকে মারপিট খুন জখম করবে, অপহরণ করে তুলে নিয়ে যাবে, মহেশখালী উপজেলায় বসবাস করতে দিবেনা মর্মে হুমকি দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেয়। তারা খুবই উৎশৃংখল চরিত্রহীন লম্পট প্রকৃতির লােক হয়। আমার ধারণা বিবাদীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তুলে না নিলে আমি ও আমার পরিবারের লােকজনদের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে।
অতঃপর আমি ঘটনার বিষয়ে গণ্যমান্য লােকজনদের অবহিতক্রমে নিরুপায় হয়ে উক্ত বিষয়ে ভবিষ্যতের জন্য
মহেশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করি।
এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে অভিযোগ করি ৷

থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং শিক্ষা অফিসার বরাবরে অভিযোগ করলে ওমর ফারুক ও তার অপরাপর ভাইয়েরা ক্ষিপ্ত হয়ে মুহুর্মুহু হুমকি দিতে থাকে ৷
এতে আমি ও আমার পরিবার নিরুপায় হয়ে নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচারের আশায় হাফেজ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আবেদন করছি ৷


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ