• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৪ অপরাহ্ন

কুতুবদিয়ার লবন চাষীদের প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান

Md Nazim Uddin / ৪০ ভিউ টাইম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১

কাইছার সিকদার:

লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে কুতুবদিয়া উপজেলার লবণ চাষী, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে৷

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ আয়ের উৎস লবণ উৎপাদন শিল্পের বিকাশ ও এই শিল্পকে টিকে রাখতে হলে লবণের উপযুক্ত দাম নির্ধারণ করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার লবণ চাষী, উৎপাদন, বিপননের সাথে জড়িত সর্বস্তরের মানুষের৷ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে লবণের দাম কম থাকায় লাগাতার ক্ষতির মুখে পড়ে লবণ চাষের আগ্রহ হারাচ্ছে এবং রিতিমত ধ্বংস হতে চলেছে বৃহৎ এই উৎপাদন শিল্পটি৷ কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা লবণের এই নিম্নমুখি দামের কারণ হিসেবে দায়ি করেছেন বিশেষ করে দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদন ও মজুত থাকা সত্বেও ভরা মৌসুমে বিদেশ থেকে লবণ আমদানী করাকে৷

লবণের উপযুক্ত দাম সুনিশ্চিত করতে করণীয় বিশেষ বিশেষ দিক গুলো উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে কুতুবদিয়া উপজেলার প্রান্তিক লবণ চাষী ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট লবণ ব্যবসায়ী ও কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবরের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরের জামান চৌধুরীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷

এসময় লবণ ব্যবসায়ী ও চাষীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ফারুকুল ইসলাম কুতুবী, মোঃ নাছির উদ্দিন, ফরিদুল আলম, ফারুক (এমইউপি), শফিউল আলম বাবুল, নজরুল ইসলাম, আনসারুল করিম, জিয়াউল হক, আকতার হোসেন চেয়ারম্যান প্রমুখ৷

স্মারকলিপির সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, দেশীয় উৎপাদিত লবণ প্রতি কেজি ১০ টাকা, ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ, উপকূলের অর্থনৈতিক জোনে লবণ পরিষোধণ কারখানা প্রতিষ্ঠা করা, বিসিক শিল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় ক্ষুদ্র লবণ পরিষোধণ কারখানা স্থাপন, আমদানীকৃত লবণের উপর উচ্চ হারে কর নির্ধারণ, লবণের ভরা মৌসুমে আমদানীকৃত বৈদেশিক লবণ বিপনন ও বাজারজাত করণে নিষেধাজ্ঞা, লবণ বাজারজাত করণ ও মজুতদার দের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, লবণ শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে লবণ বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ