• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০১:০৯ অপরাহ্ন

সন্তানদের জন্য বাঁচতে চাই মরণব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত ঝর্না

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন / ২১ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেলে কোনো কিছু ভালো লাগে না। একা একা বসে কাঁদি। হাসপাতালে শুয়ে থাকলে মনে হয় মারা যাবো। তাই সঙ্গীদের সাথে কথা বলে যন্ত্রণা ভুলার চেষ্টা করি। ওষুধ খেলে যন্ত্রণা কমে। রাত-দিন অসহ‌্য যন্ত্রণায় আমার বেঁচে থাকার স্বপ্ন মরে যাচ্ছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। ২টি সন্তানকে নিয়ে চিন্তা, আমি মরে গেলে তাদের কে দেখবে? আমি বাঁচতে চাই। আপনারা আমাকে বাঁচান।

এভাবেই নিজের যন্ত্রণার কথা জানাচ্ছিলেন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ছড়িবিল গ্রামের মরহুম বাঁচা মিয়ার কনিষ্ট কন্যা শাবনুর মোস্তারি ঝর্না (২৬)। তিনি খুটাখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড উত্তর ফুলছড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসাইন বিটু’র স্ত্রী।
মরণব্যাধি ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে ঝর্নার শরীরে। গত ৮ মাস ধরে বয়ে বেড়াচ্ছেন ক্যান্সারের যন্ত্রণা। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তার একমাত্র ছেলে আরিয়ান সায়েদ সাইমন একই এলাকার উত্তর ফুলছড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনী ও নূর সাইফা সামিহা উত্তর ফুলছড়ী তালিমুল কোরআন ও নূরানী মাদ্রাসায় নার্সারীতে অধ্যায়নরত।

মোবাইল ফোনে কথা হলে শাবনুর মোস্তারি ঝর্না জানান, বছর ধরে নানা রোগ শোকে ভুগছেন তিনি। স্বামীর উপার্জন ও দারিদ্রতার কারণে চিকিৎসার খরচ যোগাতে নিজের এই মরণব্যাধির কথা সবার কাছ থেকে গোপন করে যান। এরমধ্যে দিনে দিনে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ব্যথা আর যন্ত্রণায় দু’চোখে অন্ধকার দেখেন শাবনুর মোস্তারি ঝর্না। এভাবেই এক দু:সহ যন্ত্রণাবুকে নিয়ে তিনি যেন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

শাবনুর মোস্তারি ঝর্না আরও জানান, দীর্ঘ ৬ মাস যাবৎ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। ক্যান্সার ও রেডিও থ্যারাপি বিশেষজ্ঞ ডাঃ জান্নাতুন নিছা, ডাঃ নাছির উদ্দিন মাহমুদ পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ক্যান্সার শনাক্ত করেন এবং অপারেশন করার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে কেমোথেরাপি ও রেডিও থেরাপি নিতে হবে। এজন্য প্রয়োজন অনেক টাকার। কিন্তু তার পক্ষে সেই টাকা যোগান দেয়া সম্ভব নয়।
এতোদিন বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার দেনা করে, ভাই হেলাল খান মাহমুদ থেকে লাখ টাকা নিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করেছেন তার চিকিৎসায়। এখন প্রতিবেশিরা সহায়তা করলে তার চিকিৎসা চলবে, না হলে বিনা চিকিৎসায় মরতে হবে তাকে।
টাকার অভাবে চিকিৎসা প্রায় বন্ধ। ওষুধ খেতে পারছেন না তিনি।
এখন সমাজের বিত্তবান ও দয়ালু মানুষ যদি একটু এগিয়ে আসেন, সাহায্যের হাত বাড়ান তাহলে হয়তো শাবনুর মোস্তারি ঝর্না চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরতে পারবেন। তার চিকিৎসায় প্রয়োজন কয়েক লাখ টাকা।
শাবনুর মোস্তারি ঝর্নাকে সহযোগিতা পাঠাতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন এই নাম্বারে। তার ভাই হেলাল খান মাহমুদ- ০১৮৬৮ ৫১৭৪৩২
বিকাশ পার্সেনাল নং-০১৮২৩ ১১৭৫৯৫
ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকিং ২২৭-০১ ঈদগাঁও,কক্সবাজার
একাউন্ট নং-২০৫০৭৭৭০২০৩৩১২৭২০।
আসুন আমরা বিপন্ন মানুষের পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়াই। সবার সহযোগিতায় একটি অসহায় পরিবার ফিরে পেতে পারে স্বাভাবিক জীবন।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ