• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

সংসদে পদ্মা সেতুর সফলতা নিয়ে আলোচনা করতে চায় সরকারি দল

ডেস্ক নিউজ / ১৮ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ৪ জুন, ২০২২
মুজিববর্ষের বিশেষ সংসদ অধিবেশন শুরু রোববার - সংগৃহীত

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আগামীকাল রবিবার বিকেল ৫টায় শুরু হচ্ছে জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশন। এই অধিবেশনকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে সরকারি দল। এ অধিবেশনে পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারের সফলতা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে চায় সরকারি দল।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-এ-আলম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এজন্য পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অধিবেশনে এসে যাতে কেউ সংক্রমিত না হন, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাজেট প্রস্তাব ছাড়াও এ অধিবেশনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, চলতি মাসে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হচ্ছে। পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারের সফলতা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে চায় সরকারি দল। এ জন্য কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় সংসদে প্রস্তাব আনা হবে। সেই প্রস্তাবের ওপর সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেবেন। জাতীয় সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে আগামী রবিবার বিকেল ৪টায় কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে।

আগামী ৯ জুন সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করা হবে। এটি হবে অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্দশ বাজেট। বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের পর দুই দিন বিরতি দিয়ে ১২ জুন থেকে শুরু হবে বাজেট আলোচনা। আগামী ১৪ জুন সম্পূরক বাজেট পাসের পর প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনা শুরু হবে। আলোচনা শেষে ২৯ জুন অর্থবিল এবং ৩০ জুন মূল বাজেট ও নির্দিষ্টকরণ বিল পাস হবে। বাজেট পাসের পরও ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন-২০২২’সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাসের জন্য অধিবেশন চলতে পারে বলে জানা গেছে।

সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা

আগামীকাল রবিবার শুরু হচ্ছে ১৮তম জাতীয় সংসদ অধিবেশন। অধিবেশন নির্বিঘ্ন করতে কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, শনিবার রাত ১২টা থেকে সব ধরনের অস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে বাংলামটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রিন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমণ্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নং সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল থেকে পুরাতন নবম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এই সীমানার মধ্যে অবস্থিত সমুদয় রাস্তা ও গলিপথ। অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ