সমবেদনা জানাতে মৃত গৃহবধূ শাকিলা আক্তারের বাবা নুরুল হুদা এর বাড়িতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট নারীনেত্রী, নাজনীন সরওয়ার কাবেরী ছুটে গেছেন।

নারীনেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরীর দাবি, শাকিলা আক্তার আত্মহত্যা করেননি। তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে মেরে ফেলে হয়েছে। তিনি শাকিলা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জোর আওয়াজ তুলছেন। একইসাথে নিরপেক্ষ ভাবে লাশ পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট দেওয়ার জোর দাবী জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

নিহত গৃহবধূ শাকিলা আক্তার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে। মায়ের মৃত্যুতে গর্ভের সন্তান-ও মারা যায়। যা খুবই হৃদয়বিদারক ঘটনা বলে অবহিত করেন বিচারের দাবিতে উত্তাল এলাকাবাসী। তারা দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছেন।

এদিকে সূত্রে জানা যায়, লাশ পোস্টমর্টেম এর রিপোর্ট পেতে আরো সময়ের প্রয়োজন আছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন হওয়া যাবে।

এবার একটু এই ঘটনার পিছনে যাওয়া যাক। প্রায় একবছর দু’মাস আগে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, এখলাছুর রহমান ও শাকিলা আক্তার এই দম্পতি। গৃহবধূ শাকিলা আক্তার ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বোয়ালখালী এলাকার বাসিন্দা নুরুল হুদার মেয়ে। আর এখলাছুর রহমান কক্সবাজারের রামু উপজেলার ১নং ঈদগড় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বড়বিল বউঘাট এলাকার বাসিন্দা সাহাব মিয়ার ছেলে।

মৃত গৃহবধূ শাকিলা আক্তারের পারিবারিক ভাবে অবগত হওয়া যায়, সম্প্রতি শাকিলা আক্তারকে তার বিবাহের গয়না (স্বর্ণ) গুলো বাড়ি নির্মাণের জন্য টাকা খরচে দরকার পড়বে বলে খুঁজে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু গৃহবধূ শাকিলা আক্তার তা দিতে অস্বীকৃতি জানাই। আর এতেই বাদবাদে নির্যাতনের।

অপরদিকে শুক্রবার (৩১শে মার্চ) সকাল আটটার দিকে গৃহবধূ শাকিলা আক্তারের গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল আমিন কমরু কে খবর দেয়। পরে রামু থানা পুলিশ এসে লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এমনই বক্তব্য দেন নিহত গৃহবধূ শাকিলা আক্তারের শ্বশুরবাড়ির লোকজন।