• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজারে ডাকাতিসহ হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৯ ভিউ টাইম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩

বসতবাড়িতে ঢুকে ডাকাতিসহ খুনের মামলার আট আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আনোয়ার হোসেন নামে অপর এক আসামিকে ডাকাতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১০ আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪র্থ এর বিচারক মো. মোশারফ হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শওকত বেলাল বলেন, একটি ডাকাতিসহ হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজার শহরের টেকনাইফ্যা পাহাড় এলাকার মো. হাছানের ছেলে মঞ্জুর হোসেন, মৃত কাছিম প্রকাশ কালাজুরীর ছেলে মো. আলম, পাহাড়তলী এলাকার মো. সৈয়দের ছেলে শহর মুলুক প্রকাশ কালু, দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকার এখলাছ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন প্রকাশ কালুইন্যা, ভোলা চরফ্যাশন থানার নুরাবদ এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন, পাহাড়তলী এলাকার আব্দুর শুক্করের ছেলে মোস্তাক, টেকনাইফ্যা পাহাড় এলাকার আমির হোছনের ছেলে আক্তার কামাল এবং সিটি কলেজ এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে আমির হোছন।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ওয়াহিদ মুরাদ, দিদারুল আলম প্রকাশ দিদার, আবুল কালাম বরমাইয়া, আমিন, নুর মোহাম্মদ, রিয়াদ প্রকাশ দেলোয়ার প্রকাশ দুধুইয়া, শফিক প্রকাশ শফিক্কা, বকতিয়ার, আবদুর রহিম ও শফি।

রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ১৫ জুন রাতে কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমলিয়ারছাড়র বাচামিয়ার ঘোনা এলাকায় একদল ডাকাত বাড়ির দরজা ভেঙে স্থানীয় বাসিন্দা মো. হোসনের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে গুলি করে খুন করে। এ সময় ডাকাত দল বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ছবুরা খাতুন বাদী হয়ে মঞ্জুর আলমকে একমাত্র আসামি করে কক্সবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ১৯ জনকে।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০০৬ সালে ২৫ এপ্রিল মামলার চার্জ গঠন করে মামলার বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ মোট ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ