• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ন

নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন : অসহায় স্ত্রী সন্তান ছাড়া তার পাশে এখন কেউ নেই!

নিউজ রুম / ৩৪ ভিউ টাইম
আপডেট : রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩

ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
গণমাধ্যম ও সৃষ্টির কল্যানে যিনি বিরামহীন এক কলম সৈনিক। দেশ মাটি মানুষ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং গনতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের জন্য যিনি বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিতে ও কুণ্ঠাবোধ করেননা।
কক্সবাজারের সেই নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান এখন নিজেই জীবন মরন সন্ধিক্ষণে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটপট করছেন।
আশপাশে প্রিয় জন বলতে দুটি অবুঝ শিশু এবং স্ত্রী হাছিনা মোস্তফা ছাড়া এখন তার পাশে কেউ নেই বল্লেই চলে।শনিবার রাতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ৫ম তলায় জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে এই চিত্র।
ফরিদুল মোস্তফা খানের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বুকে ব্যথা জনিত কারণে ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি ভর্তি হন।এরপর থেকে হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ টিম তাকে দফায় দফায় বিভিন্ন পরিক্ষা নিরীক্ষা এবং ঔষধপত্র দেওয়া হচ্ছে।কিন্তুু তিনি এখনও অনেক পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে না পারায় তার চিকিৎসা নিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। যেটুকু কাগজ পত্র আমরা হাতে পেয়েছি তাতে দেখা যায়,ফরিদুল মোস্তফা খান শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন।তবে তার শারীরিক ব্যাথা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দন্ত ব্যাথা, পাইলস্ জনিত রক্তক্ষরণ সহ কিছু সমস্যা আছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেলে অচিরেই তিনি সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।

উল্লেখ্য,পুলিশের মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দেন টেকনাফের ওসি সহ জেলার মাদক ঘোষ দুর্নীতির এবং বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত মানুষ হত্যাকান্ড ও টেকনাফ কক্সবাজারের মাফিয়া রাজনীতিবিদদের মূর্তমান আতংক নির্যাতিত সাংবাদিক এই ফরিদুল মোস্তফা খান।
একারণে ওসি প্রদীপের আমলে ক্ষিপ্ত কক্সবাজার পুলিশ তাকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা,২টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ৫ রাউন্ড কার্তুস, দেশি বিদেশী মদ বিয়ার এবং চাঁদাবাজি সহ ৬ টি সাজানো মামলা দিয়েছিলো।
মেজর সিনহা হত্যাকান্ডের পর বিষয়টি জানাজানি হলে সহকর্মী সাংবাদিক এবং সচেতন মহলের চাপে সরকার তাকে ওই সময় কারামুক্তি দেন।এর আগে তিনি টানা ১১ মাস ৫দিন কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এসময় কারাগারের ভিতরে বাইরে প্রদীপের মাদক সিন্ডিকেট তাকে বিভিন্ন ভাবে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা মজলুম সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাও তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের উপর মহলের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সারওয়ার কমল এমপি বলেছেন, ফরিদুল মোস্তফার মত আদর্শবান এক তুখোড় মেধাবী সাংবাদিকের সহযোগিতায় সকলের এগিয়ে আসা উচিত।

কক্সবাজার উপকুলীয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেছেন, ফরিদুল মোস্তফা একজন সৎ নির্ভীক মেধাবী সম্পাদক। অবৈধ কোন উপার্জন থাকলে তার মত একজন সাংবাদিক আজ বিলাসবহুল জীবনযাপন করেতে পারত।
সামন্য চিকিৎসার জন্য কারো সাহায্য চাইতে হইতোনা।শুধু সততার জন্য বিপদের সম্মুখীন নির্যাতিত এই সাংবাদিকের জীবন বাঁচাতে দলমত ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সর্বশেনী পেশা তথা দেশী বিদেশি দাতা সংস্থা গুলোর এগিয়ে আসা উচিত।

কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির কয়েকজন পেশাদার সাংবাদিক নেতা বলেন,অভাবে স্বভাব ঠিক রেখে নীতির প্রশ্নে আপোষ হীন নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা ব্যাক্তিগতজীবেনে অসম্ভব ধার্মিক। কিন্তু ধর্মান্ধ নই। অসাম্প্রদায়িক এই সাংবাদিক বিশ্বের সাংবাদিক সমাজের অহংকার। তাঁকে সকল প্রকার মানবিক সহায়তা এবং জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া গনতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা ও তার সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ডা.মাহতাব হোসাইন মাজেদ বলেন,তৎকালীন সময়ে ফরিদুল মোস্তফার পাশে থেকে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম আইনি সহায়তার মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে সব কটি মামলা থেকে কারা মুক্ত করেন। এবং অসুস্থতার কারণে সারা দেশের সাংবাদিকদের সহযোগিতায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রদান করে।

স্বাধীনতা স্বপক্ষীয় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান লায়ন নুরুল ইসলাম বলেছেন,ফরিদুল মোস্তফা আমাদের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান তার কিছু হলে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ফরিদুল মোস্তফা সম্পর্কে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সভাপতি আহমেদ আবু জাফর বলেন ফরিদুল মোস্তফা একদিনে সৃষ্টি হয়নি।তার ভিতর তার ভেতর উৎসাহ উদ্দীপনা সাহস রয়েছে কিছু রাক্ষসের সাংবাদিক তার এই সাহসিকতা দুর্বল করার জন্য পেছনে নানা ভাবে রং লাগিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছি আমরা ফরিদুল মুস্তফার সকল ভাল কাজের সাথে অতিতেও ছিলাম আগামীতেও আছি একটি কথা না বললে নয় ফরিদুল মোস্তফা কে যখন ৬/৭টি মিথ্যা মামলা দিয়ে এগারো মাস পাঁচ দিন জেল খাটিয়েছিল তখন আমরা তার পাশে থেকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বের করে, চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছিলাম। সারাদেশে আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছিল। বর্তমানে ফরিদুল মোস্তফা ওই মামলাগুলো কাঁধে নিয়ে নিয়ে এখনো পথ চলছে। রাষ্ট্রের উচিত মামলাগুলোকে দ্রুত নিষ্পত্তি করে তাকে বেকসুর খালাস করে দেয়া তাহলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে বলে আমরা মনে করছি।

এই অবস্থায় আসুন দলমত ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষের মানবিক এই সাংবাদিকের জীবন বাঁচাতে আমরা যে যার অবস্থান থেকে সাধ্যমত আর্থিক সাহায্যেের হাতবাড়ায়।হতে পারে আপনার এই সাহায্য অসহায় পরিবারটির জন্য বড় একটা মানবসেবা।জীবন জীবনের জন্য মানুষ মানুষের জন্য।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ
ফরিদুল মোস্তফা খান।
একাউন্ট নং-৩০১০১২১০০০১২৭২৫।
শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক।
কক্সবাজার শাখা (১৯০২২০২৫৩)।
বাংলাদেশ।
মোবাইল -০১৭২৭৭৯৬০৭৯।

লেখক, কলাম লেখক ও গবেষক
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
ইমেইল, drmazed96@gmail.co


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ