কক্সবাজারবাসির দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো রেল আসবে কক্সবাজারে। অবশেষে রেললাইন হলো, সেই রেললাইনে ট্রেন চলাচলেরও উদ্বোধন হল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই যার বাস্তবায়ন হলো শনিবার। ঐতিহাসিক এই রেলযাত্রার স্বাক্ষী হতে পেরে উচ্ছ্বসিত কক্সবাজারবাসি। আর শতবছরের ইচ্ছে স্বপ্নপূরণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই কক্সবাজারবাসির।
বিশ্বমানের আইকনিক স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে টিকিট সংগ্রহ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর পায়ে হেঁটে হাজির হলেন লাল সবুজে রাঙানো আধুনিক ট্রেনের সামনে, জাতীয় পতাকা দেখিয়ে বাজালেন বাঁশি। যার মধ্যদিয়ে শুরু কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ট্রেনের যাত্রা।
সৈকত নগরীতে বাজলো ট্রেনের হুইসেল, ঝিকঝিক শব্দ করে যাত্রা শুরু হলো ঐতিহাসিক রেলযাত্রার। আর এতেই উচ্ছ্বসিত কক্সবাজারবাসি।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, ‘আজকের দিনটি কক্সবাজারবাসীর জন্য স্মরণীয়। আজ একটি ইতিহাস রচিত হয়েছে। আমরা সংযুক্ত হয়েছি রেল নেটওয়ার্কে। এর সাক্ষী আমি, আপনি, সবাই। অভিবাদন ও কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিুবল ইসলাম বলেন, ‘১৯৩১ সালে ষোলশহর-দোহাজারী রেললাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে প্রায় ৯৩ বছর। ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা উদ্যোগ নেন দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার রেললাইনের, যা ২০১৭ সালে ঠিকাদার নিয়োগের পর সমাপ্ত হয়েছে ২০২৩ সালের এই নভেম্বরে ট্রায়ালের মাধ্যমে। এ রেলপথ পর্যটননগরী কক্সবাজারে পর্যটকসহ সবার যাতায়াত সহজ করবে। এ রেললাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উদ্বোধনের মাধ্যমে একটি নতুন ইতিহাস রচিত হলো।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন প্রাঙ্গণে সুধী সমাবেশ করবেন। তাই ভোর হতেই সুধী সমাবেশে অংশ নিতে মানুষের ভিড় আইকনিক স্টেশন প্রাঙ্গণে। প্রচন্ড সূর্যের তাপ উপেক্ষা করে সুধী সমাবেশে অংশ নিতে দীর্ঘলাইনে অপেক্ষা। তারপরই প্রবেশ করেন সমাবেশস্থলে। কক্সবাজারবাসির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্বপ্নের রেল। আর এই স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূরণ করায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন কক্সবাজারবাসি। তারা বলেন, নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হলো।
বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে এখন ট্রেনে করেই যাওয়া যাবে। রেললাইনের দুই পাশের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে নিরাপদ ও দ্রুত সময়ে কক্সবাজারে পৌঁছে যাবেন পর্যটকেরা। ভাড়াও থাকছে সহনীয় পর্যায়ে।