• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন

ফণির তাণ্ডবের পূর্বাভাস পেয়ে সৈকতমুখী হল না এই কচ্ছপরা?

নিউজ রুম / ১৯৫ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৯
- ছবি : নয়া দিগন্ত

নয়া দিগন্ত : প্রকৃতির বিপদ সংকেত কি ওরা আগেভাগে পেয়ে গিয়েছিল? যন্ত্র ছাড়াই বুঝতে পেরেছিল ধেয়ে আসছে ফণি? ভারতের ওডিশার গঞ্জাম জেলার রুশিকুল্যা সমুদ্রসৈকতে প্রতিবছর এই সময়ে দল বেঁধে আসে ওলিভ রিডলে কাছিম। আর তা দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরা।

কিন্তু এবছর দেখা নেই কাছিমের। প্রতিবছরের তুলনায় ১ শতাংশেরও কম কাছিম বাসা বাঁধতে এসেছে সমুদ্র সৈকতে।

কাছিমদের জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিল প্রশাসন। প্রতিবছর সৈকতে ডিম পাড়তে সমুদ্র সৈকতে আসে তারা। কিন্তু এবছর তারা আসেনি। অন্যান্য বছর প্রায় ৫ লক্ষ কাছিম আসে সমুদ্রসৈকতে। তবে এবছর এসেছে মাত্র তিন হাজার।

আশ্চর্যজনকভাবে কেন্দ্রপাড়ার ঘাড়িমাথা সৈকতে কিন্তু কচ্ছপদের সংখ্যা কমেনি। সেখানে ভিড় করে এসেছে তারা।

বেঙ্গালুরুর আইএফএস অফিসার প্রবীণ কাসওয়ান টুইটারে লিখেছেন, ‘রুশিকুল্যা সৈকতে প্রতিবছরের মতো ভিড় জমায়নি ওলিভ রিডলে কচ্ছপরা। সম্ভবত সব প্রাণীকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের উপর নির্ভর করতে হয় না। দুর্যোগের ইঙ্গিত আগাম পায় তারা’।

বন দফতর অবশ্য এখনই এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, এটা কাকতালীয় হতে পারে। গতবছর ৪.৭৫ লক্ষ ওলিভ রিডলে কচ্ছপ এসেছিল। কিন্তু এবছর মাত্র ৩০০০। ২০০২, ২০০৭ ও ২০১৬ সালেও ভিড় কম হয়েছিল।

একসঙ্গে সৈকতে শঙ্কু আকৃতির দেড়ফুট গর্তে ডিম পাড়ে স্ত্রী কাছিমরা।

মেক্সিকো ও কোস্টারিকার পর ওডিশার সমুদ্র সৈকতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কচ্ছপ বাসা বাঁধতে আসে। ১৯৯১ সালে এক সপ্তাহে প্রায় ৬ লক্ষ ওলিভ রিডলে কাছিম ডিম পাড়ে সৈকতে।

ওলিভ রিডলে কাছিমকে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণির তালিকাভূক্ত করেছে Union for Conservation of Nature and Natural Resources (IUCN)। ওলিভ ওলিভ রিডলের খোলস পাচারকারীদের জন্য তাদের বিলুপ্তির পথে যেতে চলেছে।

১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ওডিশায় পাচারকারীদের খপ্পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ১ লক্ষ কাছিমের।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ