ডেস্ক রিপোর্ট
রামু চাকমারকুল ইউনিয়নে ডেইঙ্গাপাড়ার মোস্তাফার পুত্র সাইদুর ইসলাম কতৃক চলছে ইয়াবা রমরমা ব্যবসা। স্থানীয়দের প্রশ্ন,অনেক দিন ধরে ইয়াবা ডন পরিচিত থাকলেও সে এত কৌশলী হয়ছে কিভাবে বা কেন প্রশাসনের জালে পড়েনা? এত বড় রাঘব-বোয়ালরা হওয়ার সত্ত্বেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে । আর পুলিশসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে গ্রেপ্তার হচ্ছে ছোট ছোট ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীরা। তানপরও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না এই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রসারতা। বর্তমান কক্সবাজার সদর ঝিলংজা ইউনিয়নে যার নাম দেয়া হয়েছে “ইয়াবা গ্রাম খরুলিয়া” সেখানে ছোট বড় ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীরা প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ছে তবে রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়ন ডিঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা হইয়ে ,সদরের খরুলিয়ার অনেক গ্রাম সাইদুরের ইয়াবা সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে চলছে তবে প্রশাসনের নজরে পড়ছেনা ।
এই ইয়াবা ডনের কারণে দিন দিন নতুন নতুন যুবক-যুবতী ঝুকে পড়ছে এই ইয়াবা ব্যবসায় ও মাদক সেবনে। এলাকাবাসী জানায় সাইদুরের ইয়াবা বানিজ্য বন্ধ করতে পারলে চাকমারকুল ও খরুলিয়া ৯০% মাদক নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে এবং মুক্তি পাবে শত শত মাদক সেবী।
বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা যায়, সাইদুরের একটি বড় সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। তার চক্র যারা জড়িত রয়েছে (১) শাহাজান পিতা মকতুল হোছন, ডিঙ্গা পাড়া (২) সালাম পিতা অজ্ঞাত সাং(ঐ)। শাহাজান ও সালামের বিষয় অনুসন্ধানী রির্পোট করার পর বিস্তারিত ২য় পর্ব পত্রিকায় চোখ রাখুন। যে চক্রর মাধ্যমে স্কুল,কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার বেকার তরুণ যুবকরা সহজলভ্যতার কারণে ইয়াবা সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। তার বিষয়ে অনেক বার পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে সে অটল রয়েগেছে।
গোপন তথ্যবৃত্তিতে জনাযায়, সাইদুর কয়েক বছর আগে একজন বেকার ছেলে তার তেমন কোন সম্পদ ছিলনা আজ ইয়াবা জোরে করেছে আলীসান বাড়ী। গড়ে তুলছে অর্থের পাহাড়,রড-সিমেন্ট এর দোকান ও ফার্ম সহ চলাফেরার করার জন্য রয়েছে উচ্চ মূল্যের দুটি মটর সাইকেল। এছাড়া টেকনাফ থেকে ইয়াবা বহন করার জন্য রয়েছে দুজন পারমেন সিএজির ড্রাইবার।
উপজেলার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আটক করতে প্রশাসন সম্ভাব্য স্থান গুলোতে হানা দিচ্ছে প্রতিদিন। তবে গভীর জলের মাছ হয়ে গোপনে ইয়াবা ব্যবসা করে সাইদুর রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে তবে তার উপর কোন প্রভাব পড়ছেনা। কোনমতেই থামছে না তার ইয়াবা বাণিজ্য। বিভিন্ন সময় ইয়াবায় তার সিন্ডিকেটের লোক আইনের আওতায় আসলেও তিনি কৌশলে বা টাকার জোরে রয়েগেছে নাগালের বাহিরে। এভাবে চক্রটি দ্বীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
এই বিষয়ে জানতে রামু থানার অফিসার ইসার্স মহোদয়ের সাথে মোবাইলে কথা বললে, জানায় এই মহুত্বে কিছু বলা যাচ্ছেনা তবে,তার ব্যাপারে তদন্ত করে জানানো হবে এবং মাদকের জড়িত থাকলে ছাড় পাবেনা এবং যেকোন ভাবে আইনের আওতায় আনা হবে।
এব্যাপারে সাইদুর সাথে আলাপ করতে চাইলে বন্ধ থাকায় ফোনে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী মহলের মতে, ইয়াবা ব্যবসা রোধে এসব চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা না গেলে সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মিশন বাস্তবায়ন কিছুতেই সম্ভব না। তাই স্থানীয়রা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা ।ব্যাপারে সাইদুর সাথে আলাপ করতে চাইলে বন্ধ থাকায় ফোনে
যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী মহলের মতে, ইয়াবা ব্যবসা রোধে এসব চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা না গেলে সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মিশন বাস্তবায়ন কিছুতেই সম্ভব না। তাই স্থানীয়রা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা ।
সুত্র: আলোকিত উখিয়া