• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন

পুঁটিবনিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডে ১৮ স্থাপনা পুড়ে ছাঁই

নিউজ রুম / ৮১ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০

ওমর ফারুক টেকনাফ থেকে:

টেকনাফের রইক্ষ্যং পুঁটিবনিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডে লার্নিং সেন্টার, চাকমা ও রোহিঙ্গাদের বসত-ঘর, দোকান ও হাসপাতালসহ ১৮টি স্থাপনা পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এই অগ্নিকান্ডে শিশুসহ ৪জন আহত হলেও আরো ১০ রোহিঙ্গা ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

জানা যায়, ১লা এপ্রিল (বুধবার) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ঊনছিপ্রাংয়ের ২২নং রইক্ষ্যং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রেলিগেশন-১ পয়েন্ট এলাকায় অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়ে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে দ্রুত উপস্থিত হয়ে রোহিঙ্গা, চাকমা গোষ্ঠী এবং ক্যাম্প প্রশাসনের লোকজনের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পূর্বেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত আইআরসি হাসপাতাল, মুক্তি ও কোডেক পরিচালিত ৬টি লার্নিং সেন্টার, স্থানীয় মংছা থোই চাকমা, মং ছা অং, লালা মং, অং চেইগ্য চাকমা, মং ছা থোইং ও মাছু চাকমার ৫টি ঘর ও ৪টি রোহিঙ্গা বসতি, ২টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।

এছাড়া অগ্নিকান্ডের আতংকে আরো ১০টি রোহিঙ্গার ঘর ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসময় মং ছা থোইং, মাছু চাকমাসহ ৪০ বছরের এক ব্যক্তি ও ৬ বছরের এক শিশু আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর পূর্বেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের সুত্রপাত চাকমা বসতির রান্না ঘর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ক্যাম্পে নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ রফিক অগ্নিকান্ডে এসব ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এই অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় চাকমা পরিবার সমুহকে ব্যক্তিগত তহবিল হতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন৷ আমি তাদের পুনর্বাসনে এগিয়ে আসার জন্য সরকারী বেসরকারী সংস্থার প্রতি দাবী জানাচ্চি।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতি পরিবারকে ২ বাইন টিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা প্রদান করেন।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ