• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন

সত্যিই পুলিশ জনতার, প্রমাণ করলেন মানবতাবাদী ওসি দিদারুল ফেরদৌস

নিউজ রুম / ১২০ ভিউ টাইম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০

[কাইছার সিকদার]

মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার – পুলিশ হবে জনতার, এই স্লোগান টি ছিল ২০২০ সালের সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকীতে বাংলাদেশ পুলিশের চ্যালেন্জিং উপহার৷ সেই স্লোগান বাস্তবায়নের রূপকার কুতুবদিয়া থানার মানবতাবাদী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা – দিদারুল ফেরদৌস৷

চলমান বিশ্বের মহামারী আতঙ্ক নোভেল করোনা ভাইরাসের মহামারী থেকে দেশের মানুষ কে সুরক্ষিত রাখতে গোটা দেশ আজ নিজ নিজ অবস্থানে অবরুদ্ধ। সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেছে উপার্জনের সব পথ কিন্তু থেমে নেই পেটের চাহিদা, এই অবস্থায় অতি দরিদ্র মানুষ গুলো পড়েছেন সব চেয়ে বেশী বিপদে ৷ পেটের জ্বালা পিটের জ্বালা তাদের যেন আর সয় না, দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদা তৎপর বিপদ গ্রস্ত দেশের শৃঙ্খলা রক্ষায় কিন্তু পেশা গত এই গতানুগতিক দায়িত্ব পালন করে থেমে থাকেন নি ওসি দিদারুল বরং মানবতার হাত বাড়িয়ে অভাবী মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে হাজির হচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে৷

গতকাল ১লা এপ্রিল বুধবার বড়ঘোপ ইউনিয়নের মুরালিয়া গ্রামের ঘরে বন্দী অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা গেছে তাঁকে৷ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান তাঁর উদ্যোগে ওনি সহ কুতুবদিয়া থানায় কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যের ৩ দিনের বেতনের টাকা ও এলাকার ঐচ্ছিক দাতাদের অর্থের সমন্বয় করে অত্র ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তিনি, এই পর্যন্ত ৪০০(চার শত) পরিবার কে উনার নিজ হাতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন এবং লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন৷

তিনি আরো জানান শুধু ধারাবাহিক এই ত্রাণ কার্যক্রম নয়, যে কোন মূহুর্তে জরুরী প্রয়োজনে হট লাইনে দেওয়া নাম্বারে ফোন করলে ততক্ষণাত পৌছে যাবে আমার পুলিশ ফৌজ কিংবা আমি নিজে প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে৷ ( যার নাম্বার – ০১৮৪-৩৩৩৩১৪৪, ০১৭৭৭৮১০০৪৬.)

তিনি জানান আমি চাই যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে লকডাউন দেওয়া হয়েছে সেটা যেন বিঘ্নিত না হয়, মানুষ যেন নিরাপদে থাকে আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং ত্রাণ বিতরণ কালে পুলিশ সদস্যরা প্রত্যেক ব্যাক্তি কে করোনা আক্রান্তের হাত থেকে বাঁচতে নিরাপদ উপায় সম্পর্কে সচেতন করতেছেন৷

এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন কুতুবদিয়া উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি খোরশেদ আালম৷ ছাত্র লীগ সভাপতি তাঁর মন্তব্যে বলেন মানবতার এই দূর্দিনে নিজ অর্থায়নে, স্ব-উদ্যোগে অভাবগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ, দ্বীপের জনগণ তাঁর কাছে ঋণী হয়ে থাকবে৷

বিতরণ কালে উপকার ভোগী এক মহিলার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন – ‘ইবা পুলিশ নয়, ইবা ফেরেস্তা’ (ইনি পুলিশ না, উনি ফেরেস্তা)৷ দুই দিন আগে ও পুলিশের বাঁশি শুনে গণ জমায়েত কৃত মানুষ পালিয়েছে ঘরের ভেতরে, আজ সেই পুলিশের হাত দিয়ে পরম মমতায় তুলে দেওয়া হচ্ছে কিনা তাদের ক্ষুধার অন্ন তা পেয়ে মানুষ শুধু আনন্দিত নয় বিস্মিত ও বটে৷ ইতিপূর্বে ও বিভিন্ন জন হিতকর কাজের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন ওসি দিদারুল ফেরদৌস। সাধারণ জনগণ এবং সচেতন মহলের আশা এভাবে পুলিশ যেন সবসময় মানুষের বন্ধু হয়ে পাশে থাকে, তাহলে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও আস্তা আরো সুদৃঢ় হবে৷


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ