• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন

শত কর্মব্যাস্থতার মাঝে ক্ষুদে বার্তায় গভীর রাতেও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন, ইউএনও শিবলী নোমান

নিউজ রুম / ৭৪ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২০

মোঃ নাজমুল সাঈদ সোহেল,চকরিয়া:

বৈশ্বিক ভাবে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনার ভাইরাসের প্রভাবে পুরো বিশ্ব আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। মহামারী এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখন দেশে অঘোষিত ভাবে চলছে লকডাউন। আর এতে গৃহবন্দী হয়ে বিপাকে পড়ছে কর্মহীন ও হতদরিদ্র মানুষ। বিশেষ করে যারা দিনে আনে দিনে খায়, তাদের পরিবারের অবস্থা চরম ভয়াবহ। করোনা’র প্রাদুর্ভাব এ অনেক হতদরিদ্র ও দিন মজুরের বাড়িতে খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারেও একই অবস্থা। দরিদ্ররা চাইতে পারলেও মধ্যবিত্তরা লজ্জায় ত্রাণও চাইতে পারেন না। দেশের প্রতিটি শহর ও গ্রামে-গঞ্জে তার ব্যতিক্রম নয়। এ দুর্যোগ সময়ে কক্সবাজারের
চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় গৃহবন্দী কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষের কাছে সরকারিভাবে ও ব্যক্তিগত ভাবে ইতোমধ্যে উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন জনপদে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।

তবে ব্যক্তিগতভাবে সামাজিক ও পারিবারিক পরিচয়ের সুবাদে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার লাইনে দাঁড়িয়ে এসব উপহার কিংবা খাদ্য সহায়তা নিতে চাইনা, সেসব পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার দরিদ্র পরিবারের ঘরে ক্ষুদে বার্তায় মানবিক সহায়তার হাত বাঁড়িয়ে রাতে বা দিনে পৌঁছে দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান।

ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর মোবাইলের এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তা পেয়ে যাচাইয়ের পর চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে চাল, ডাল, তেল, আলুসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।
ইউএনও শিবলী নোমানের নির্দেশে প্রতিদিন রাতে উপজেলার বিভিন্ন জনপদে জীবিকা হারানো এসব মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন উপজেলা টেকনিশিয়ান এরশাদুল হক ও ইউএনও কার্যালয়ের গাড়ি চালক মোহাম্মদ মানিক। পাশাপাশি একইভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবে বিভিন্ন জনের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের দু:সময়ে ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন জনপদে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত সামাজিক ও পারিবারিক পরিচয়ের সুবাদে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার লাইনে দাঁড়িয়ে এসব উপহার কিংবা খাদ্য সহায়তা নিতে চাননা। সেইজন্য এসব পরিবারকে সহযোগিতা করতে উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোতে মোবাইলের এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তা পেলে যাচাইয়ের পর তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। বিতরণের ক্ষেত্রে প্রকৃত যারা সহায়তা পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে দেয়া হচ্ছে। সঠিক তথ্যই কেবল আমাদের দিন। কারণ শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনাদের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা খাবার নিয়ে বাড়িতে ছুটে যাচ্ছি। আমাদের নিরাশ করবেন না। ভুল তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না।

ইউএনও শিবলী নোমান আরও বলেন, জনসেবার জন্য জনপ্রশাসন। আপনি ঘরে থাকুন। আপনার নাম পরিচয়গোপন করে উপজেলা প্রশাসনের সেবা আপনার দরজার কাছে পৌঁছে দেব। নিঃসংকোচে এস এম এস করুন। আমরা আছি আপনার পাশে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ