• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন

মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে অরক্ষিত বেড়িবাঁধ আসন্ন বর্ষা আতঙ্কে দ্বীপের ৮০ হাজার মানুষ | সি কক্স নিউজ

নিউজ রুম / ১৭ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ১৩ মে, ২০২০

ইয়াছিন আরাফাত,মহেশখালী:

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি বিভিন্ন সময় জোয়ারের পানির ধাক্কায় তলিয়ে গেছে ৭০নং পোল্ডারের সাইটপাড়া এলাকার বেঁড়িবাধ। বেঁড়িবাধ সংস্কার কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নড়বড়ে কাজ করায় চলতি বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে ঘর বাড়ী তলিয়ে গিয়ে ৪ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে দ্বীপের ৮০ হাজার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটছে।

বর্ষার আগে জিও, টিউব দিয়ে বেঁড়িবাধ রক্ষা করার কথা থাকলেও ২/৩ টি নামে মাত্র টিউব দিয়ে সিংহভাগ অরক্ষিত রেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্টান উধাও হয়ে গেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

জানাগেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ঠদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসির পক্ষ থেকে জানানো হলেও এখনো বেড়িবাঁধ নিমার্ণে কোন লক্ষ দেখা যাচ্ছে না। এখন বিষয়টি উপ-দ্বীপের ৮০ হাজার মানুষের অস্থিত্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন তারা আমাদের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারছে না বুঝতে পারছি না। চলতি বছরে স্থায়ী বেঁড়িবাধ ও সুইচ গেইট নিমার্ণ না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে মাতারবাড়ী সাগরে পানিতে তলিয়ে যাবে এমনটা শঙ্কায় রয়েছেন অত্র এলাকার বাসিন্দারা ।

বিষয়টি নিয়ে সোস্যাল মিড়িয়া সামজিক যোগাযোগমাধ্যম চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ একটি আবেকর্ঘনময় স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি নিজের ফেসবুকের টাইম লাইনে লিখেছেন, মাননীয় এমপি মহোদয়, জেলা প্রশাসক, সভাপতি জেলা আওয়ামীলীগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের দৃষ্টি আকর্ষণ। করোনা নামক মহামারীর এ দুঃসময়ে এমতাবস্থায় আমার মাতার বাড়ীর পশ্চিমে সাইট পাড়া ৭০নং ফোল্ডারের বেড়ীঁবাধেঁর যে বেহাল অবস্থা আগামী বর্ষায় হাজার হাজার একর জমিতে ধান চাষ হবেনা। সাইরার ডেইল জেলে পাড়ায় এ বর্ষায় প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার গৃহহীণ হবে। এ ব্যাপারে বহুবার এম.আই.ডি.আই মিটিং এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারকে অবহিত করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর সাথে আমার কয়েক দফা কথা হয়েছে মোবাইলে। এমপি মহোদয় তা অবগত আছেন। জ্যাইকার অর্থায়নে ৭৬০কোটি টাকা বেড়ীবাধেঁর বরাদ্ধ হয়ে গেছে, হচ্ছে, হবে তবে আদৌ এর শেষ কোথায় জানিনা।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর (ওয়াপদা কক্সবাজার) সর্ব মহলে বলে বেড়ান জিও, টিউব দিয়ে বর্ষা রক্ষা করবেন। কই তিনটা টিউব ছাড়া আর কিছুই না করে চলে গেলেন নিয়োগ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। জানিনা এতদিনে হয়ত বিলও নাকি উত্তোন হয়ে গেছে কে জানে। বেড়ীবাধঁ ভাঙার বর্তমান যে অবস্থা ধান চাষতো হবেই না মাতারবাড়ীও রক্ষা করা কঠিন হবে। আপনারা কি একটু চিন্তা করে দেখবেন? বিষয়টি অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ।

জানা গেছে, বালির বাঁধের বেড়িবাঁধের বড় অংশ ধসে যাওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে মাতারবাড়ির ৮০ হাজার বাসিন্দার। বেড়িবাঁধের ষাইটপাড়া এলাকার বাকি অংশও যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

তেমনটা হলে পুরো ইউনিয়ন সাগরের পানিতে তলিয়ে যাবে বলে মনে করেন পরিবেশ বিশেজ্ঞরা। বলতে গেলে নিয়তির সাথে যুদ্ধে চলছে অত্র এলাকার হাজার হাজার মানুষের। বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ এখনো বন্ধ করা না হওয়ায় ঢুকছে জোয়ারের পানি।

সিঙ্গাপুরের স্বপ্ন দেখা এই মানুষ গুলো এখন ঘুমের ঘোরে লাফিয়ে উঠে জোয়ারের পানিতে বসত বাড়ি ডুবে যাওয়ার আতংকে। অত্র এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি বর্ষার আগে বেঁড়িবাধটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ