• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার কারাগারে সিট বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে হাজতির আত্মহত্যার চেষ্টা ! সি কক্স নিউজ

নিউজ রুম / ১৩ ভিউ টাইম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০

নিজস্ব সংবাদদাতা:

কক্সবাজার কারাগারে আলমগীর (২১) নামে এক হাজতি আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সে কুতুবদিয়ার আবু ছিদ্দিকের পুত্র বলে জানা গেছে।

গত ১২মে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় সিট বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে কারাগারের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটেছে। কারা কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে বুধবার ১৩ মে সকালে তাকে পূণরায় করাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেল সুপার মোকাম্মেল হোছাইন।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ- কারাগারের সাবেক চীফ রাইটার ও বর্তমান ক্যান্টিন কর্মচারী জিয়া উদ্দিন চৌধুরী মানিক নামে এক ব্যক্তির অত্যচার সহ্য করতে না পেরে আলমগীর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। অভিযুক্ত জিয়া উদ্দিন ঈদগা এলাকার মহিউদ্দিনের পুত্র বলে জানা গেছে। সে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দী হিসেবে কক্সবাজার জেলে রয়েছে। একারণেই সে দাপটের সাথে নবাগত হাজতীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে, সিট বাণিজ্য করে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার সুযোগে জিয়া উদ্দিন একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়ে দাপটের সাথে কারা অভ্যন্তরে এক নারকীয় সাম্রাজ্য গঠন করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কারারক্ষী জানান, জেলা কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি, সাবেক রাইটার ও বর্তমান ক্যান্টিন কর্মচারী জিয়া উদ্দিন মানিক নতুন হাজতি আসলেই টাকার জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। এমনকি শারীরিক নির্যাতনও চালায়। তার কথা মতো কাজ না করলে হাজতিদের নানাভাবে শারীরিক ও মানুষিক অত্যাচার করে। অনেকে তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়। আলমগীরকেও মানিক টাকার জন্য চাপ দিলে সে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।

তারা জানান, কারাগারের ভেতরে নির্যাতন চালিয়ে বাইরে হাজতির পরিবারকে খবর পাঠিয়ে টাকা আদায় করে। কারাগারের অভ্যন্তরে তার হকুম চলে। তার কথা মতো চলে জেল সুপার।

অনুসন্ধানে জানা যায়- ঘটনার দিন ১২মে কারাগারে আলমগীরকে নির্যাতন চালানোর কারণে সে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। পরে দ্রুত তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভর্তি দেন। হাসপাতালের ৫তলায় মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৮নং বেডে হাত পা বেঁধে দুই জন কারারক্ষীর পাহারায় তার চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। তবে হাসপাতালে তার কোন আত্মীয়জন উপস্থিত ছিলেন না। হাজতি আলমগীরের আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়ে জানতে চােইলে পাহারারত কারারক্ষীরা কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাকে দ্রুত কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাজতির আত্মহত্যা ও ক্যান্টিন কর্মচারী মানিকের নানান অপকর্মের বিষয়ে জানতে জেলসুপার মোক্কামেল হোছাইনের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি কারাগারে কোনো টাকা পয়সার লেনদেন হওয়ার সুযোগ নেই বলে দাবী করেন। এবং অভিযুক্ত জিয়া উদ্দিন মানিকের বিষয়ে এখনও কিছুই জানেন না বলেও দাবী করেন। এছাড়াও আত্মহত্যার চেষ্টাকারী হাজতি আলমগীরের বিষয়ে বলেন- সে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে, এরপর তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাজতি আলমগীরকে হাসপাতালে বিষপানকারী রোগীদের মতো হাত পা বেঁধে কেন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে মৃগী রোগির মতো। আবার বলেন- খিচুনি আসায় তাকে এভাবে সেবা দেয়া হয়। বুধবার সকালে তাকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। ওইটা আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা না।

Channel Cox New.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ