সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে জমির মালিকানা ভোগ দখল করতে চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় সশস্ত্র হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোহাম্মদ রাশেদুল আলম (৪৩) নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার গোলদিঘির পূর্বপাড়া এলাকার বদিউল আলমের ছেলে। শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে খুরুশকুলের কুলিয়াপাড়ায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ আটক হয়নি। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, কুলিয়াপাড়াস্থ শ্মশানের দক্ষিন পার্শ্বের মোহাম্মদ রাশেদুল আলমের স্বত্ত্ব দখলিয় জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণকালীন ১০/১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ আক্রমণ করে। এতে জমির মালিক রাশেদুল ইসলাম গুরুতর জখম হন। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজারে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভিকটিম রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তার জমি দখল স্বত্ব ভোগ করতে হলে স্থানীয় মোহাম্মদ ছৈয়দের বড় পুত্র মোঃ বেলাল ২ লক্ষ টাকা ও মৃত আবু তাহেরের পুত্র রাশেদুল ইসলাম ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। বিভিন্ন সময় তারা মোবাইলে ফোন করে হুমকি দেয়। তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিলে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।
এমনকি তার মালিকানাধীন জমি অবৈধ দখল করবে বলে জানায়। জমির মালিক বিভিন্ন সময়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেও তেমন সুরক্ষা পায়নি। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে টাকা না দেয়ায় মৃত আবু তাহেরের পুত্র মনজুর মোর্শেদ (২৭), আবু সুফিয়ান পুওত্যা (২৮), মোঃ রাশেদ (৩৫), শামশু (৪২), মোঃ ছৈয়দের পুত্র মোঃ বেলাল (৩৮) ও আনিসুর রহমান ধইল্যাসহ আরো ১০/১২ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী হামলে পড়ে। নির্মাণাধীন ৬০ ফুট বাউন্ডারি ওয়াল ভাংচুর করতে থাকে। জমির মালিক অধ্যাপক ফিরোজ শাহ বাঁধা প্রদান করলে চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী মনজুরের হতে থাকা ধারালো দা দিয়ে মাথায় সজোরে কোপ মারে। এতে তিনি রক্তাক্ত গুরুতর জখম হন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, চিহ্নিত সন্ত্রাসী পুওত্যার হতে থাকা কিরিচ দ্বারা এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। বাকী লোকজন পকেটে থাকা নগদ ৮০ হাজার টাকা ও অপো এস ৫ মোবাইল সেটটি জোরপূর্বক ছিনিয়া নেয়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা মটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন রাতেই কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোঃ ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, কুলিয়াপাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তাদের কাছে পুরো এলাকাবাসী জিম্মি। পরের জমি দখল, অপহরণ, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের সিন্ডিকেটকে ধরার এখনই উপযুক্ত সময়।