চ্যানেল কক্স ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশব্যাপী এখন পর্যন্ত (২৭ এপ্রিল) ৫,৯১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৩১ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫২ জন। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা মহানগর।
ঢাকা মহানগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭১৭ জন। ঢাকার পরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯৯।
ঢাকা মহানগরীতে আক্রান্তের হিসাব (২৭ এপ্রিল পর্যন্ত)
এলাকা ——- আক্রান্তেরসংখ্যা
আব্দুল্লাহপুর —— ১
আদাবর ————- ৬
আগারগাঁও ——– ১১
আমিনবাজার —— ২
আমলাপাড়া ——– ২
আরমানিটোলা —– ২
আশকোনা ———– ১
আজিমপুর ——— ১৮
বাবুবাজার ——— ১১
বাড্ডা ————— ১৮
বেইলিরোড ——— ৩
বারিধারা ———— ৭
বনশ্রী —————– ১
বনানী —————- ৯
বাংলা মোটর —— ২
বংশাল ————- ৪৭
বানিয়ানগর ——- ১
বাসাবো ———– ২৪
বিজয়নগর ——– ১
বসুন্ধরা ———— ৭
বেগুণবাড়ি ——- ১
বেগমবাজার —– ১
বেড়িবাঁধ ———- ১
বকশিবাজার —- ৫
বসিলা ————- ১
বুয়েটএলাকা —- ১
ক্যান্টনমেন্ট —– ৭
সেন্ট্রালরোড —- ২
চানখারপুল —– ২৬
চকবাজার ——- ৩২
দনিয়া ————– ১
দক্ষিণখান ——– ১
ঢাকেশ্বরী ———- ১
ডেমরা ————– ৯
ধানমণ্ডি ———– ৩৬
ধোলাইখাল ——- ২
দয়াগঞ্জ ————- ২
এলিফ্যান্ট রোড — ৫
ইস্কাটন ————– ৯
ফরিদাবাগ ——— ১
ফকিরাপুল ——– ২
ফার্মগেট ———— ৫
গেণ্ডারিয়া ———- ২৯
গোলারটেক ——– ১
গোড়ান ————– ৩
গণক্টুলি ————– ৩
গোপীবাগ ———– ১০
গ্রিনরোড ———— ১২
গুলিস্তান ————- ৬
গুলশান ————- ২৩
হাতিরঝিল ———– ১
হাতিরপুল ———— ৩
হাজারীবাগ ——— ২৬
ইব্রাহীমপুর ———– ২
ইসলামবাগ ———– ২
ইসলামপুর ———— ২
জেলগেট ————– ২
যাত্রাবাড়ী ————- ৬৯
জিগাতলা ————- ৬
জুরাইন ————— ২২
কল্যাণপুর ———— ৬
কলাবাগান ———– ৫
কাকরাইল ———– ৪৪
কাঁঠালবাগান ——— ১
কমলাপুর ————– ২
কামরাঙ্গীরচর ——– ১১
কাজীপাড়া ———— ৭
কারওয়ানবাজার —- ৫
করাতিটোলা ———– ১
কচুখেত —————– ১
খিলাগাঁও ————- ২০
খিলখেত ————– ১
কলতাবাজার ——— ১
কদমতলী ————– ৫
কোতোয়ালি ———- ৯
কুড়িল —————– ১
লালবাগ ———— ৬৫
লক্ষীবাজার ——– ১০
মাদারটেক ———- ১
মালিটোলা ———- ৪
মালিবাগ ———— ১৮
মানিকনগর ——— ২
মানিকদি ————- ১
মাতুয়াইল ———– ৪
মীরহাজারিবাগ —- ৩
মিরপুর১ ———— ২৯
মিরপুর ২ ———— ২
মিরপুর৬ ———— ৬
মিরপুর১০ ———- ১৩
মিরপুর১১ ———- ২৫
মিরপুর১২ ———- ১৬
মিরপুর১৩ ———– ৩
মিরপুর১৪ ———– ৩৭
মিটফোর্ড ————- ৩৮
মগবাজার ———— ২৮
মনিপুর —————– ১
মহাখালী ————–৪২
মোহনপুর ————– ১
মোহাম্মদপুর ——— ৫৭
মতিঝিল ————— ২
মুগদা ——————- ৪১
নবাবপুর ————– ১
নাজিরাবাজার — ৭
নবাবগঞ্জ ——— ৪
নারিন্দা ——— ১১
নীলক্ষেত ——– ৩
নাখালপাড়া ——– ৯
নয়াবাজার ——— ৭
নীমতলী —— ৪
নিকুঞ্জ—— ১
পল্লবী——– ২
পীরেরবাগ ——৩
পোস্তগোলা ——৫
পুরানোপল্টন ——- ২৭
রাজারবাগ ———–১১০
রামপুরা ——-১৫
রমনা ———–৮
রায়েরবাগ ———-২
রাজা বাজার ——-২
রসুলপুর ———-১
রূপগঞ্জ ————১
রায়েরবাজার ——–৪
সবুজবাগ ———-৭
সদরঘাট ——-৩
শাজাহানপুর ——- ৭
সায়েদাবাদ —–৪
সেগুনবাগিচা —– ৪
সায়েন্সল্যাব —-১
শাহআলীবাগ—– ২
শাহবাগ—– ৩৬
শাখারিবাজার –২৮
শান্তিবাগ —৪
শ্যামপুর —–১
শান্তিনগর —–১৪
শ্যামলী —–১১
শেওড়াপাড়া —–৪
শেখেরটেক ——১
সোয়ারিঘাট —-৩
সিদ্ধেশ্বরী——- ৪
শনিরআখড়া——— ৬
স্বামীবাগ ——৩১
শের-ই-বাংলা নগর—— ৬
সূত্রাপুর——- ১৪
তাঁতিবাজার ———৩
টিকাটুলি ———-১৪
তেজকুনিপাড়া ——২
তেজগাঁও———– ৪০
তুরাগ ———১
তেজতুড়িবাজার —–৪
টোলারবাগ ———১৯
উর্দুরোড ——-১
উত্তরা ——-৩৭
ভাটারা ——–১
ওয়ারি ———–৩৬
সূত্র : আইইডিসিআর
২৭ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে তিন হাজার ৮১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৪০১টি। নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৪৯৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯১৩ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও সাতজন, এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫২ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও নয়জন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩১ জন।
নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ছয়জন পুরুষ ও একজন নারী। পাঁচজন রাজধানী ঢাকার, একজন সিলেট ও একজন রাজশাহীর বাসিন্দা। পাঁচজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১০ বছরের নিচে একজন শিশু মৃত্যুবরণ করেছে।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই লাখ সাত হাজার। তবে পৌনে নয় লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। নিয়েছে আরও নানা পদক্ষেপ। এসব পদক্ষেপের মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায়, বিশেষত ঘরে রাখা। কিন্তু সশস্ত্র বাহিনী, র্যা ব ও পুলিশের টহল জোরদার করেও মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না বিধায় করোনাভাইরাসের বিস্তার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।