• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন

বিএসএমএমইউতে প্রথমবারের মতো সফল লিভার ট্রান্সপ্লান্ট

নিউজ রুম / ১৮৩ ভিউ টাইম
আপডেট : সোমবার, ২৪ জুন, ২০১৯

বিশেষ প্রতিবেদক :

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রথমবারের মতো লিভার ট্রান্সপ্লান্ট (প্রতিস্থাপন) সম্পন্ন হয়েছে। ২০ বছরের এক যুবকের লিভার (যকৃত অথবা বহুল প্রচলিত কলিজা) প্রতিস্থাপন করেছেন সার্জনরা। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগকে সহায়তা করেছে হেপাটোবিলিয়ারি ও প্যানক্রিয়েটিক বিভাগ।

লিভার প্রতিস্থাপন কয়েক দিন আগে করা হলেও এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য দেয়নি। তবে মঙ্গলবার এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য ও ইতিহাস জানাবে কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর ভিসি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া ছাড়াও থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম (স্বাস্থ্য বিভাগ), জি এম সালেহ উদ্দিন (স্বাস্থ্য শিক্ষা)।

এর আগে বারডেমে একটি লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এরপর বারডেমের এ বিষয়ে আর কোনো তৎপরতা ছিল না। তারও আগে ল্যাব এইড হাসপাতাল এ ব্যাপারে একটি লিভার প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বারডেম ও ল্যাব এইড ছাড়াও টার্শিয়ারি সেবা দেয় এমন কয়েকটি বেসরকারি তারকা হাসপাতালও চেষ্টা করে আসছে লিভার প্রতিস্থাপনে কিন্তু সফলতা আসেনি।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ প্রতিস্থাপনটি করা হয়েছে সম্পুর্ণ বিনামূল্যে। অনেক টাকার ব্যাপার ছাড়াও লিভার প্রতিস্থাপন খুবই জটিল একটি অস্ত্রোপচার। লিভার নষ্ট হয়ে গেলে রক্ত ও অন্যান্য কিছুর সাথে ‘ম্যাচ’ করলেই অন্যের লিভার থেকে নির্দিষ্ট কিছু অংশ কেটে গ্রহীতার নষ্ট হয়ে যাওয়া লিভারে প্রতিস্থাপন করা হয়। এরপর কয়েকদিন চিকিৎসকদের নিবিড় তত্বাবধানে থাকতে হয় লিভার দাতা ও গ্রহীতাকে। লিভার দাতার কাটা অংশটি কিছুদিন পর আবার আগের মতো হয়ে যায়।

অপরদিকে লিভার গ্রহীতার দেহের সাথে প্রতিস্থাপিত লিভার সঠিকভাবে ‘ম্যাচ’ করলেই তখন লিভারটি কাজ করতে থাকে এবং এক সময় এই টুকরোটিই একটি পুর্ণাঙ্গ লিভারে পরিণত হয়। যতদিন পুর্ণ না হচ্ছে ততদিন চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হয়।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ