• শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন

লামায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে সমলয়ে চাষাবাদ কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন

ইসমাইলুল করিম / ৩৬১ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি শ্লোগান সামনে রেখে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,কর্তৃক আয়োজিত কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির সমলয়ে চাষাবাদ কার্যক্রমের আওতায় ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ দিয়ে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন-সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ে উপকৃত হবেন কৃষকরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ এম এম শাহানেয়াজ, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বান্দরবান পার্বত্য জেলা ,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যসাপ্রু মার্মা, সদস্য, বান্দরবান জেলা পরিষদ ও আহবায়ক জেলা কৃষি উন্নয়ন কমিটি লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মোস্তফা জামাল, পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও নারীনেত্রী ফাতেমা পারুল,লামা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কী রাণী দাশ, মো. জাহেদ উদ্দিন, লামা উপজেলা কৃষি অফিসার আশরাফুজ্জামান, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ সহ স্থানীয় এলাকাবাসী। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ চারা রোপণের যন্ত্র দিয়ে অতি অল্প সময়ে চারা রোপন করা যায়। এতে কৃষকের সময় শ্রম ও অর্থের সাশ্রয় হবে৷ এ যন্ত্রের সাহায্যে ১ ঘন্টায় প্রায় এক একর জমিতে ধান রোপণ করা যায়। এর ফলে কৃষি শ্রমিকের সংকট মোকাবেলা সহজ হবে। পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে।

কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ জনপ্রিয় করতে সরকার ভর্তুকি মূল্যে কৃ যন্ত্রপাতি বিতরণসহ তিন পার্বত্য জেলায় এবারই প্রথম সমলয়ে চাষাবাদ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে অতি অল্প সময়ে অধিক পরিমাণ জমিতে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে চারা রোপণ করা যায়। যার ফলে কৃষকের ব্যয় কমে যায়। পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে ২০ থেকে ২৫ দিন বয়সের রোপণ করা যায়। ফলে রোপা আমন চাষের পর কৃষকরা সরিষা চাষ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রেতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করে বোরো ধান রোপন করতে পারবে। এতে সহজেই দুই ফসলি জমি কে তিন ফসলী জমিতে রূপান্তর করা সম্ভব হবে বলে উপজেলা কৃষি অফিসার জানান। কৃষকদের কে সরকারের দেওয়া যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকে আগ্রহী করে তুলতে কৃষি বিভাগ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। যার কারনে দিন দিন এই মেশিনের চাহিদা বাড়ছে। উপজেলায় চাহিদার ভিত্তিতে কৃষকের মাঝে আগামীতে আধনিক প্রযুক্তির এ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ মেশিন বিতরণ করা হবে। উপজেলা প্রদর্শনীর অন্যতম উদ্দেশ্য কৃষকের অর্থ, শ্রম এবং সময় সাশ্রয় করে কৃষককে লাভবান করা। সে লক্ষ্যে ধানের চারা রোপণ, ক্ষেত্রে আধুনিক কৃষি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ