• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন

চার বছরের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, সংসদে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

নিউজ রুম / ১২৬ ভিউ টাইম
আপডেট : সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৯

    

অনলাইন ডেস্ক

আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে সারাদেশে শতভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে বিএনপির হারুনুর রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।

নসরুল হামিদ বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ৫০ বছর লেগেছে। আমাদের অতটা সময় লাগবে না। আমি কখনও বলিনি সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পেরেছি। তবে আমরা ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবো।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইডকলের অর্থায়ন ও টিআর/কাবিটা প্রকল্পের অধীনে বর্তমানে সৌরবিদ্যুতের গ্রাহক ৬০ লাখ ৩৮ হাজার ৩০৩ জন। এরমধ্যে ইডকলের নিজস্ব অর্থায়নে ৪১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯১, টিআর/কাবিটা প্রকল্পের অধীনে গ্রাহক আছে ১১ লাখ ২৭ হাজার ১৫৮ জন এবং অন্যান্য সংস্থার ৭ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৪।

মানিকগঞ্জ-২ আসনের মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ৫১০ কিলোওয়াট ঘণ্টা। সারাদেশে অফগ্রিড এলাকায় স্থাপিত সোলার হোম সিস্টেমের সংখ্যা ৫০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯টি।

বগুড়া-৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমান সরকারের আমলে ১০ বছরে ৬ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।
এই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত গৃহস্থালি, বিদ্যুৎ ও সার খাতে ৪ বার; শিল্প, ক্যাপটিভ পাওয়ার, চা ও বাণিজ্যিক খাতে ৫ বার এবং সিএনজি খাতে ৬ বার গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে সব শ্রেণির গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের আব্দুল মান্নানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ছয়টি গ্যাস কোম্পানির আওতায় বর্তমানে ৪২ লাখ ৯০ হাজার গৃহস্থালি সংযোগ রয়েছে। গত অক্টোবর পর্যন্ত তিতাস ও কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির আওতায় ২ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৬টি প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। এই হিসাবে আবাসিকের ৬ শতাংশ গ্রাহক প্রি-পেইড মিটারের আওতায় এসেছে।

ঢাকা-৪ আসনের সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আবাসিক এলাকায় গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের জন্য গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই। প্রাকৃতিক গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার ও বিকল্প জ্বালানি সহজলভ্য হওয়ায় আবাসিকে গ্যাস সংযোগ স্থগিত আছে। বর্তমানে বাসাবাড়িতে পাইপলাইন গ্যাসের পরিবর্তে এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

ঢাকা-২০ আসনের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালালিসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট। গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৯ হাজার ৪২৮ মেগাওয়াট। এরমধ্যে সরকারি খাতে ৯ হাজার ৭৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৪টি ও বেসরকারি খাতে ৮ হাজার ৫২৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ