অনলাইন ডেস্ক :
কুলাউড়ার বরমচালে আন্ত:নগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দূর্ঘটনার পর কুলাউড়া থেকে ঢাকা ও চট্রগ্রামে রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২ টায় জয়ন্তিকা ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে কুলাউড়া থেকে ছেড়ে যায়। এর পর ৭১০ পাহাড়ীকা চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে এবং বিকেল ৪ টায় আন্ত:নগর ৭১০ পারাবত এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বলে কুলাউড়া স্টেশন মাষ্টার মুহিবুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রেল সচিব বরমচাল দূর্ঘটনা কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের কাছে কুলাউড়া থেকে ঢাকা ও চট্রগাম রুটে ট্রেন চলাচলের ঘোষনা দেন। এর পর থেকে বরমচাল দুর্ঘটনার পর ১২ ঘন্টার পর ঢাকা ও চট্রগ্রামের সাথে কুলাউড়া থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলো। তবে বরমচালের রেললাইন ও ব্রীজ মেরামত করতে কমপক্ষে ১ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে রেলওয়ে সুত্রে জানা গেছে। এর পরেও সিলেটের সাথে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিহত ৪ জনের মধ্যে ২ জন নার্সি কলেজ ছাত্রী, বাকী ২ জন কুলাউড়া ও হবিগঞ্জের
কুলাউড়ার বরমচালে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দুজনই সিলেট নার্সিং কলেজের ছাত্রী। নিহতরা হলেন মনোয়ারা পারভিন (৪৫), ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভা (২০), সানজিদা (২০) ও অপরজন কাওসার (২৬)। এখন পর্যন্ত এই চারজনের মৃত্যুর খবরই নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
নিহতদের মধ্যে ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভা ও সানজিদা সিলেট নার্সিং কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে অপর মহিলা হলেন মনোয়ারা পারভিন। তার বাড়ি কাদীপুর ইউনিয়নের গুপ্তগ্রামে। তিনি কুলাউড়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালিকের ছোটভাই আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল বারীর স্ত্রী।
নিহত কাওসারের পরিচয়ও নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তার বাবার নাম নূর হোসেন। তার বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবলে। কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. নুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।