• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন

সাকিবে হাসলো বাংলাদেশ

Md. Nazim Uddin / ২৩ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১

চ্যানেল কক্স ডটকম:

দ্বিতীয় সেশনেও জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ ভাঙা যাচ্ছিল না। তবে প্রথম সেশনের মতো অত অপেক্ষা করতে হয়নি। বাংলাদেশকে আবার উইকেট আনন্দে মাতিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এই স্পিনারের শিকারে জিম্বাবুয়ে হারিয়েছে আরও দুই উইকেট উইকেট। তাতে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪ উইকেটে ২২৮ রান। তারা এখনও পিছিয়ে ২৪০ রানে। কাইতানো অবশ্য ক্রিজে জমে আছেন এখনও। ব্যাট করছেন ৭৬ রানে।

টেলর উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার পর আবারও ধৈর্য পরীক্ষা নিতে থাকে জিম্বাবুইয়ানরা। অভিষিক্ত কাইতানোর সঙ্গে জুটি গড়তে থাকেন আরেক অভিষিক্ত ডিওন মায়ার্স। ৪৯ রান করা এই জুটিই ভেঙে দিয়েছেন সাকিব। উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিরাজের তালুবন্দি হন মায়ার্স (২৭)।

ব্যাট হাতে হতাশ করা সাকিব ঝলসে উঠেন তাতে। নতুন বল নেওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান টিমিসেন মারুমাকেও আর থিতু হতে দেননি। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে তুলে নেন আরেকটি উইকেট। ১৭ বল খেলা মারুমা বিদায় নেন রানের খাতা খোলবার আগেই।

তাসকিনের কথাই ফুটে উঠছে

প্রথম দিনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের দৃশ্যপটে কোনও মিল ছিল না। মাহমুদউল্লাহ-তাসকিন আহমেদ মিলে কাটিয়ে দেন দুই সেশন। দিন শেষে ‘ব্যাটসম্যান’ হয়ে ওঠা তাসকিন উইকেটের চরিত্র বর্ণনা করে গিয়ে জানান, হারারের পিচে সাফল্য পেতে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে।

এই পেসারের কথাই ফুটে উঠছে তৃতীয় দিনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে। দ্বিতীয় দিনের শেষভাগে প্রভাব বিস্তারের পর আজও (শুক্রবার) দাপট দেখাচ্ছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। অনেক চেষ্টার পর ব্রেন্ডন টেলরকে ফেরানো গেছে, তাও সেটা ছিল জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের ‘উপহার’। ওই শেষ, প্রথম সেশনে আর কোনও সাফল্য নেই বাংলাদেশের। তাই খুব একটা স্বস্তি নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যেতে পারেননি মুমিনুল হকরা।

প্রথম সেশনে একবারই বাংলাদেশ উল্লাস করতে পেরেছে মেহেদী হাসান মিরাজের সৌজন্যে। এই স্পিনারের বলেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা টেলর। হতাশার প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষা। তবে তাসকিনের কথা যেভাবে মিলে যাচ্ছে তাতে খুব বেশি আশার আলোও দেখা যাচ্ছে না।

তৃতীয় দিনের লাঞ্চে যাওয়ার আগে দারুণ সময় কাটানো জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ৬৭ ওভারে ২ উইকেটে ২০৯ রান। প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রান করা বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে ছিল ২৫৯ রানে। ব্যাট করছিলেন তাকুজোয়ানাশে কাইতানো (৬৩) ও ডিয়োন মায়ার্স (২১*)।

মিরাজের উল্লাসে স্বস্তির হাওয়া

আগের দিন ম্যাচ শেষে তাসকিন আহমেদ বলে গিয়েছিলেন, হারারের পিচে উইকেটের জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। অর্থাৎ, পিচের বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। সেই ধৈর্যের পরীক্ষা তৃতীয় দিনের সকাল থেকেই দিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। অবশেষ সেটির ফল পেলো। মেহেদী হাসান মিরাজ এনে দিলেন দিনের প্রথম সাফল্য।

ব্রেন্ডন টেলরের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। আসলে নিয়েছেন বদলে ‘দিয়েছেন’ বলাটা ভালো। কারণ টেলর অপ্রয়োজনীয় শট খেলে বিলিয়ে এসেছেন উইকেট। দারুণ খেলতে থাকা জিম্বাবুইয়েন অধিনায়ক মিরাজের লেন্থ বল জোরের সঙ্গে লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক হয়নি। যার খেরাসত হিসেবে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলীর হাতে।

প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে টেলর ৯২ বলে খেলে যান ৮১ রানের ঝলমলে ইনিংস, যাতে ছিল ১২ বাউন্ডারির সঙ্গে ১ ছক্কার মার।

টেলরের বিদায়ে জিম্বাবুয়ে হারালো দ্বিতীয় উইকেট। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে স্বাগতিকদের স্কোর ৫৮ ওভারে ২ উইকেটে ১৮২ রান। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৪৬৮ রানে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ