• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন

দেশে কর্মরত সব বিদেশিকে করের আওতায় আনার পরামর্শ

Md Nazim Uddin / ১৯ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে ইআরএফের প্রাক-বাজেট বৈঠক

চ্যানেল কক্স ডেস্ক:

করজালের আওতা বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সিটি করপোরেশন এলাকায় করের হার কমানোসহ একাধিক দাবি জানিয়েছে অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)। এছাড়া বিদেশি নাগরিকদের করের আওতায় আনতে এনবিআরের উদ্যোগ আরও জোরালো করার পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি।

নতুন বাজেট সামনে রেখে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের নেতারা।

রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ছাড়াও রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক, জাকিয়া সুলতানা, ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম প্রাক-বাজেট আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী বলেন, দেশে ইটিআইনধারীর সংখ্যা ৭০ লাখের মতো। তার মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন মাত্র ২৪ থেকে ২৫ লাখ। অথচ কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সব টিআইএনধারীর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। রিটার্ন দাখিল না করা এ বিপুল পরিমাণ টিআইএনধারীকে করজালের আওতায় আনতে আইনের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা দরকার। করজাল বাড়াতে সিটি করপোরেশন এলাকার নাগরিকদের কর হার কমিয়ে সব টিআইএনধারীকে উৎসাহী করার প্রস্তাব করে সংগঠনটি।

তিনি বলেন, করযোগ্য নাগরিকদের সংখ্যা নিয়ে এই বিভ্রান্তি দূর করতে করযোগ্য প্রকৃত নাগরিকের সংখ্যা নিরূপণে এনবিআরের একটি ব্যাপকভিত্তিক জরিপ চালানোর পাশাপাশি সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে এনবিআরের কার্যক্রম বাড়ানো দরকার।

তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংসদে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ৮৫ হাজার ৪৮৬ জন বিদেশি নাগরিক কাজ করেন। কিন্তু এনবিআরে আয়কর জমা দেন মাত্র ১৪ থেকে ১৫ হাজার। দেশে কর্মরত বিদেশিরা বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যান বলে এক গবেষণায় জানিয়েছে টিআইবি। দেশে কর্মরত সব বিদেশি নাগরিককে করের আওতায় আনতে এনবিআরের উদ্যোগ আরও জোরালো করা প্রয়োজন।

কোনো ব্যবসায়ী যেন কর ফাঁকি দিতে না পারেন সেজন্য এনবিআরের অটোমেশন ও কঠোর মনিটরিং, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল পদ্ধতিকে আরও জনপ্রিয় করা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটটি আপগ্রেড করার প্রস্তাব করে ইআরএফ।

তাদের অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- অর্থপাচার রোধে ভারত অথবা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো কঠোর আইন করা, বিনিয়োগকারীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কর কাঠামো প্রণয়ন, নতুন আয়কর আইন বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসে তাদের মতামতের ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত করা, রপ্তানিবান্ধব বন্ড ব্যবস্থাপনা তৈরি, প্রতিটি পণ্যের জন্যই আলাদা এইচ এইচ কোড নির্ধারণের দাবি জানায় সংগঠনটি।

এছাড়া ব্যবসায় পরিবেশ সহজ করা এবং এনবিআরের কার্যক্রমকে অটোমেশন করতে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার উদ্যোগ ত্বরান্বিত করা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ভ্যাটের আওতায় আনার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে ইএফডি ব্যবহারের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।

ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর পাশাপাশি পেশাজীবীদের সঙ্গে গত রোববার থেকে শুরু হওয়া প্রাক-বাজেট আলোচনা। প্রথম দিন এনবিআরের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় টেলিভিশন ও সংবাদপত্র মালিকদের। আগামী বাজেট আরও অংশগ্রহণমূলক, যৌক্তিক, সুষম ও গণমুখী করতে বরাবরের মতো এনবিআরের পক্ষ থেকে এমন আয়োজন করা হয়। প্রতিদিন দুটি সেশনে ২০ মার্চ পর্যন্ত এ আলোচনা চলবে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ