অনলাইন ডেস্ক : রংপুরের মিঠাপুকুরের চেংমারির মোসলেম বাজারে এরশাদ নামের এক কৃষককে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী আছমা বেগমের বিরুদ্ধে। পুলিশ বৃহস্পতিবার কৃষকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস জানান, ১১ বছর আগে উপজেলার চেংমারির মোসলেম বাজার এলাকার এরশাদ মিয়া ছড়ান বালুয়া এলাকার আছমা বেগমকে বিয়ে করেন। কৃষিকাজের পাশাপাশি এরশাদ ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতেন। তাদের পাঁচ বছরের একটি মেয়ে সন্তান আছে।
পারিবারিক কলহের কারণে বেশ কিছুদিন থেকে আছমা তার ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। গত বুধবার রাতে স্ত্রী আছমা বেগম স্বামীর বাড়িতে আসলে আবারো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া লাগে। বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রীর কান্নার শব্দে প্রতিবেশীরা এসে ফাঁসিতে এরশাদের ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
ওসি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে করে দেখা গেছে অণ্ডকোষ চেপে ধরার কারণেই এরশাদের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের অন্য কোন স্থানে দাগ কিংবা ক্ষত চিহ্ন নেই। তবে পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এরশাদের স্ত্রী আছমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিহত এরশাদের কন্যা সাদিয়া জানান, আরো দুইজন লোক সাথে নিয়ে আমার মা আমার বাবাকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে।
ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী বলেন, আমার কাছে একমাস আগে এরশাদ তার স্ত্রী বাড়িতে নেই বলে অভিযোগ করে। তাকে থানায় একটি জিডি করতে বললে সে জিডি করেছিল। আমি তাদের পরিবারের সাথে কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে আসা যায় কি না সে বিষয়ে তাকে আশ্বস্ত করেছিলাম।
বৃহস্পতিবার জানতে পারি বুধবার আছমা স্বামীর বাড়িতে এসেই ঝগড়া লাগে এবং একপর্যায়ে স্ত্রী স্বামীর অণ্ডকোষ চেপে ধরার কারণে মৃত্যু হয়েছে।