• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

ঘাটাইলের রসুলপুরে শালিখাগ্রামে হাফিজ বাহিনীর তাণ্ডব

নিউজ রুম / ১৫৩ ভিউ টাইম
আপডেট : রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

নিউজ ডেস্ক :

ঘাটাইলের রসুলপুর ইউনিয়নের শালিখা গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় অন্ধপ্রায় রসুলপুর ঢলুয়া পাড়া গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলাম (কফিল) মিয়া। গত ২৫।১১।২০১৯ তারিখে জমি দখলের নাম করে হঠাৎ করে হাফিজ বাহিনীর কয়েক জন মিলে হামলা করে সিরাজুল ইসলাম কফিলের উপর, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে জমি কিনে নেয় ঠান্ডু মিয়ার নিকট থেকে রসুলপুর ঢুলুয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সিরাজুল ইসলাম কফিল ।

জমি কিনার সময় সন্ত্রাসীদের পরিবারে সবাই মিলে কফিলকে জমি কিনে দেয় শালিখা গ্রামের সন্ত্রাসীদের হোতা মোঃ হাফিজুর রহমান তাকে গ্রামের সবাই ডাক্তার হাফিজ নামেই চিনে, তার পরিবারের ভাই ভাতিজা মিলে সংখ্যায় অনেক হওয়ায় নিজ গ্রাম সহ পাশের দুই চারটি গ্রামে নির্বিগ্নে চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মাদক ব্যাবসা এবং চাঁদা বাজি।

গত ২৫-১১-২০১৯ তারিখে মোঃ সিরাজুল ইসলাম কফিল তার ক্রয় করা জমিতে ঘর তুলতে গেলে বাঁধা প্রধান করেন হাফিজ বাহিনীর শরাফত মিয়া (৪৫), পিতা মৃত রজব আলী। মাজেদুল (২৫), পিতা শরাফত আলী, সোহরাব মিয়া (২৭), পিতা মোঃ শহিদ লিটন (২৭), পিতা: মৃত রজব আলী সহ আরো কয়েক জন সন্ত্রাসী মোঃ সিরাজুল ইসলাম কফিল মিয়া দির্ঘদিন জাবত শালিখা বাজারে সুনামের সাথে ব্যাবসা করে আসছে, মাঝে মাঝে তার ব্যাবসায় বাঁধা প্রধান করতেন শরাফত, লিটন, মাজেদুল, সোহরাব।

এরা সবাই হাফিজ বাহিনীর সন্তাসী। এরা এর পুর্বে একাধিক বার কফিলের নিকট থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে, তিনি কোন চাঁদা না দেওয়ার কারনেই ২৫ তারিখ ডাক্তার হাফিজ এর নির্দেশে হামলা চালায় কফিল মিয়ার উপরে। ওই দিন কফিল মিয়া নিজের ক্রয় করা জমিতে ঘর তুলতে গেলে প্রথমে সন্ত্রাসীরা ওই খানে জমি পায় বলে বাঁধা প্রদান করে কিন্তু কফিল মিয়া ৫ বছর আগে তাদের সহযোগিতায় ওই জমি ক্রয় করে বলে তর্কে জড়িয়ে পরে।

তর্কের এক পর্যায়ে হাফিজ বাহিনীর শরাফত আলী কফিলের উপর সিনেমার কায়দায় ঝাঁপিয়ে পরে এবং বাকিরাও কাছে থাকা স’মিলের লাকড়ী দিয়ে রিতীমত মারপিট করতে থাকে। বাজারে লোক জন কম থাকায় তারা দীর্ঘক্ষন ধরে কফিলকে মাথায়, মুখে চোখে আঘাত করে, পরে এলাকায় লোকজন খবর পেয়ে ওদের হাত থেকে কফিলকে রক্ষা করে প্রথমে ঘাটাইল থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠায় কিন্তু অবস্থা খারাপ দেখে তাকে টাংগাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্ব্যরত চিকিৎসক।

শরাফত, মাজেদুল, লিটন এবং সোহরাব এরা মিলে দির্ঘদিন যাবত শালিখা বাজার সহ আশে পাশে এলাকায় ডাক্তার হাফিজের নিয়ন্ত্রনে চালিয়ে আসছে মাদক জুয়া সহ আরো অনৈতিক বিভিন্ন কর্মকান্ড। কেউ কোন রকম বাঁধা প্রয়োগ করলেই তার উপরে চলে নির্যাতন।

গত ১৩-০২-১৯ তারিখে লিটন ও মাজেদুলের নামে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন শালিখা গ্রামের মোঃ আয়নাল হক নামের এক ব্যাক্তি। তিনি মামলায় বলেন ০৯-০২-২০১৯ তারিখে বেলা আনুমানিক তিন ঘটিকার সময় লিটন, মাজেদুল সহ আরো কয়েক জন সন্ত্রাসী পরিকল্পীত ভাবে আয়নাল হকের বাড়িতে প্রবেশ করে অতর্কিত ভাবে তার বাড়িতে থাকা মনোহারি ও চায়ের দোকান ভাংচুর করতে থাকে। এই সময় আয়নালের শ্যালক বাঁধা প্রয়োগ করলে লিটন লোহার রড
দিয়ে তার উপর আঘাত করে। আয়নালের শ্যালক গুরুতর ভাবে আহত হয় এবং তার হাতের আংগুল ভেংগে যায়। পরে সবাই মিলে আয়নালের উপর ঝাঁপিয়ে পরে তাকে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী ভাবে আঘাত করতে থাকে।

তারা আয়নালের বাড়ির মনোহারি ও চায়ের দোকানের সব মালামাল ভাংচুর সহ আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার সম্পদ নষ্ট করে চলে যায়। এই মামলায় আসামীগণ কিছুদিন জেল হাজতে থাকার পরে এখন জামিনে আছে আছে বলে ১৪ সালে মামলা দায়ের করেন মধুপুর থানায় আজিরণ বেগম নামে আরেকজন মহিলা।

তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, জানামতে ১৫-০৪-২০১৪ সালের আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকার সময় বাদীর স্বামী শালিখা বাজের আসলে সরাফত আলী, লিটন, মাজেদুল ও সোহরাবের নামে আরো ৮-১০ জন মিলে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায় বাদির স্বামির উপর।

মামলার আসামিগন আজিওরনের স্বামির ব্যাবহার করা বাজাজ প্লাটিনা ১২৫ সি সি মটর বাইকের উপর পেট্রোল ডেলে আগুন দিয়া পুঁড়িয়ে ফেলে এবং বাদির স্বামিকে এলোপাথারিভাবে আঘাত করে এবং তার নিকট থাকা দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাকে নানা রকম ভয় ভীতি দেখিয়ে চলে যায়।

এলাকার লোকজন এসে তাকে উদ্যার করে মধুপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। স্থানীয় নেত্রীবৃন্ধের উপস্থিতিতে একটি দরবারের মাধ্যমে একটি নতুন মটর সাইকেল এবং দুই লক্ষ টাকা বাদিকে ফেরত দিবে বলে সিদ্ধান্ত হয় কিন্তু আজোবধি সেই মোটরসাইকেল এবং টাকা কোন কিছুই তারা দেয়নি।

এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় হাফিজ বাহিনীর সদস্যরা দির্ঘদিন যাবত এলাকায় চালিয়ে আসছে মাদক বিক্রির কাজ।মাদক ব্যবসার জন্য দুই একজন জেল-ও খেটেছে কিন্তু তাতে কোন কাজে আসেনি। কেউ কোন প্রতিবাদ করলেই তাদের উপর চলে আক্রমন হামলা। এই ভয়ে এলাকার কেউ তাদের বিরুধ্যে মুল খুলতে নারাজ।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ