চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার। সংবাদ সম্মেলনে শিমুকে হত্যায় তার স্বামী নোবেল ও লাশ গুমের ঘটনায় নোবেলের বন্ধু ফরহাদের সংশ্লিষ্টতার কথা জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার।
হত্যার কারণ জানতে চাইলে জেলার পুলিশ সুপার বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ থাকায় তাকে (শিমু) হত্যা করা হয়েছে বলে জানান নোবেল। আর হত্যার পর লাশ গুমে তিনি বন্ধু ফরহাদের সহযোগিতা নেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে নোবেল ও ফরহাদকে আটক করে পুলিশে দেয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরও আগে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি ‘রক্তমাখা প্রাইভেটকার’ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব ও পুলিশ।
উল্লেখ্য, সোমবার কেরানীগঞ্জ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) তার লাশ নেয়া হয়। সেখানেই শিমুর স্বামী ও গাড়িচালক ফরহাদ গেলে তাদের আটক করে র্যাব।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় ও প্রযোজনায় করেছেন শিমু। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহযোগী সদস্য ছিলেন।